খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশ। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৩৩জন শান্তিরক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।
যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি বাংলাদেশ যেমন সম্মান জানিয়েছে এবারও জানাবে। তেমনি এবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ৩জন শান্তিরক্ষীসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশের ১১৭ জন আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষী কর্মীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল” প্রদান করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ বাংলাদেশসহ ৪৩টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধির হাতে এই মেডেল তুলে দেন গত ২৪ মে। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান হয়। জানা গেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মালি মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক মোহাম্মদ আবুল বাসার এবং একই মিশনে কর্তব্যরত বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ সামিদুল ইসলাম নিহত হন ২০১৬ সালের ১৫ মে।
জাতিসংঘের মহাসচির গুতেরেজ কর্তব্যরত অবস্থায় জীবনদানকারী সামরিক ও বেসামরিক শান্তিরক্ষী কর্মীর বিদেহী আত্মার স্মরণে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে অবস্থিত পিসকিপিং মেমোরিয়াল সাইটে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। জাতিসংঘ নিযুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, যাদেরকে আমরা সম্মান জানালাম তারা পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্দশাগ্রস্থ মানুষগুলোকে রক্ষা এবং ঐসকল দেশকে সংঘাত থেকে শান্তিতে উত্তরণের মতো কঠিন কাজে সহযোগিতা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। তিনি বিশ্ব শান্তির জন্য জীবনদানকারী এসকল শান্তিরক্ষী কর্মীদের সর্বোচ্চ অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এর আগে আত্মদানকারী শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জাতিসংঘে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদেরকে বাংলাদেশও স্মরনীয় করে রেখেছে। তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আসছে। সোমবারও ‘পিসকীপার্স রান’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।