খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭: বন্যায় হাওরাঞ্চলের ধান ডুবে গেলে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যায়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এক মাসের অধিক সময়ে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার হয়নি। চালের দামও বেড়ে চলেছে। সর্বশেষ প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তথ্যমতে চলতি বছরের ১ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২০ দিনে চাল আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৫১ হাজার ১১২ মেট্রিক টন। এ সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ১১ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন খাদ্যের ঋণপত্র। প্রতি কেজি চালের আমদানি মুল্য ২৯ টাকা। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৮ মেট্রিক টন। নিষ্পত্তি হয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন খাদ্যের ঋণপত্র। প্রতি কেজি চালের আমদানিমূল্য ছিল ২৭ টাকা। তবে চালের এ দাম মোটা ও চিকন চালের গড় মূল্য। তথ্য অনুযায়ী এক মাসের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা। আমদানি সংশ্লিস্ট ব্যাংকের সুত্রগুলো জানায়, শুল্ক না কমলে এ অবস্থার পরিবর্তনের আশা খুবই কম্।
এদিকে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম উঠেছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। মিনিকেটের (চিকন) দাম উঠেছে বাজার ভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। খুব তাড়াতাড়ি চালের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকায় চালের বাজারের সুত্রগুলো।
খাদ্য ভান্ডার খ্যাত উত্তারাঞ্চলের চাল মিল মালিক সমিতির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, ধানের সংগ্রহ মূল্য বেশি। ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল তৈরিতে খরচ পড়ছে ২,৫৬০ টাকা পর্যন্ত। এ চাল বাজারে ভোক্তার কাছে পৌছতে দাম পড়বে ৬০ টাকা উপরে। এ দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং আগামীতে এ দাম আরও বাড়বে।