খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ১১টার মধ্যে মধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বেলা ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানে। তবে ঝড়ের তীব্রতা আর না বাড়লে এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোরা’র প্রভাবে ভোরে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার। তবে এ ঘূর্ণিঝড়টি বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিবেগে আঘাত হানছে। মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
শামসুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা সিলেট হয়ে ভারতের মণিপুরে গিয়ে শেষ হবে। তবে সিলেটে ঝড় বা বাতাস না হলেও হালকা বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকুলীয় অঞ্চল অতিক্রম শুরু করেছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত উপকূল অতিক্রম করেনি। আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে মোরা অতিক্রম করলেও আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে। এ সময়ে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া, অন্যান্য এলাকায় হালকা ও মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।