খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭: রমজান মাসে প্রতিটি বাড়িতেই ইফতার এবং সেহরিতে থাকে বাড়তি আয়োজন। অনেকেই অনেক কিছু বেছে বেছে খেয়ে থাকেন। আবার রোজার দিনে সারাদিন কিছু খাওয়া হয় না ভেবে অনেকেই প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খান। তবে এসব খাবার পানির তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। সারাদিন খাওয়া হবে না ভেবে সেহরিতে ভূরিভোজ একেবারেই ঠিক নয়। তবে শুধু ভূরিভোজ নয়, দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু খাবার আছে যা সেহরিতে খাওয়া ঠিক। আসুন জেনে নেয়া যাক খাবাগুলো সম্পর্কে-
ডিম
পুষ্টিকর একটি খাবার ডিম। যেটি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন পূরণ করে থাকে। কিন্তু রোজার রাতের সেহরিতে এই ডিমের কোনো রান্না তরকারি একেবারে খাবেন না। কেননা ডিম খেলে আপনার পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে যা সারাদিনই ডিমের গন্ধযুক্ত ঢেকুরের সৃষ্টি করবে। ফলে আপনি রোজা রেখে অস্বস্তি বোধ করবেন। অসুস্থ হয়ে যাবেন।
ডাল
আমাদের দেশে ভাতের সাথে ডাল থাকবেই। কিন্তু সেহরির রাতে কখনই ডাল জাতীয় খাবার খাবেন না। বিশেষ করে ডালভুনা, মুগ বা বুটের ডাল। খেতে চাইলে মসুর ডাল পাতলা করে খান। কেননা ডাল খালি পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি করে। ফলে আপনি সারাদিন পেটের ব্যথা অনুভব করবেন এবং অসুস্থ হয়ে যাবেন।
খিচুরি
খিচুরি অত্যন্ত গরম একটি খাবার যা শরীরকে গরম করে তোলে। অনেকের আবার পেটের সমস্যাও তৈরি করে। তাই সেহরির রাতে কখনই এই গরম খাবারটি খাবেন না। কেননা এটি আপনার পেট খারাপ করে দিতে পারে এছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থও হয়ে যেতে পারেন।
তেলযুক্ত খাবার
সেহরিতে কখনই অধিক তেলযুক্ত কোনো খাবার খাবেন না। পোলাও, বিরিয়ানি, ডালের বড়া বা অন্য ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। এতে বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া সহ নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেবে,
লেবু
খালিপেটে লেবু অত্যন্ত অ্যাসিডিটি করে। তাই সেহরিতে লেবু খাবেন না। তা না হলে আপনার কষ্ট করে রাখা রোজাটি মাকরুহ হয়ে যেতে পারে বাজে ধরনের অ্যাসিডিটির কারণে।
কোল্ড ড্রিংকস
কোল্ড ড্রিংকস আসলে অতিরিক্ত চিনি আর মিষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। তাই সেহরিতে কখনই কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না। এতে করে অযথা শরীরের বাজে কিছু পদার্থ ছাড়া আর কিছুই ঢোকানো হয় না। সাথে কোল্ড ড্রিঙ্কস দেহকে পানিশুন্য করে ফেলে।
সেহরিতে খাওয়ার রুচি এমনিতেই সবারই কম থাকে। তাই বলে কখনই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সেহরিতে খাবেন না। এতে করে আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে এবং হজমে গড়বর দেখা দিতে পারে।