Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭: গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে দক্ষিনের আটাডাঙ্গা বাওড়ের দুরত্ব ১ কিলো মিটারের বেশী। উত্তরের কুমার নদ থেকে একটি শাখা খাল এসে আটাডাঙ্গা বাওড়ের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিনের উজানী গিয়েছে। এই বাওড় ও খালের সংযোগ স্থলে ছোট বাহাড়া গ্রাম, যা বাওড়ের দক্ষিন পাড় দিয়ে গড়ে উঠেছে। খাল এবং বাওড়ের সংযোগ স্থলে পারাপারের জন্য বর্ষা মৌসুমে খেয়া এবং অন্য সময় বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভর করতে হয়। এ গ্রামের উপর দিয়ে দক্ষিনের গ্রাম আদমপুর, রসুলপুর, কৃষ্ণপুর, গোপালপুর, পাথরাইল, গোপ্তরগাতী ও ঝাকোর গ্রামে যেতে হয়। হাট বাজারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এ ৮টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ মুকসুদপুর সদরে যাতায়াত করে। বাওড়ের উত্তর পাড় পাকা রাস্তা পর্যন্ত যানবাহনে যাওয়া আসা যায়। কিন্তু পাঁকা ব্রীজ না থাকায় খাল পার হয়ে দক্ষিনের ঝাকো পর্যন্ত আরো প্রায় ৫ কিঃ মিঃ রাস্তা পায়ে হেটে যেতে হয়। রুগী নিয়ে বা মালামাল নিয়ে সদরে কিংবা অন্য কোথাও যেতে হলে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে আরো প্রায় ৫/৬ মাইল ঘুরে আসতে হয়। এ অঞ্চলের বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন যাবত উক্ত সংযোগ স্থলে একটি পাঁকা সেতুর আবেদন করে আসলে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েকবার সরেজমিনে গিয়ে দেখে মাপামাপি করে গেলেও বাস্তবে কোন ফল হয়নি। মুকসুদপুরের কৃতি সন্তান এলজিইডি’র বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার শ্যামা প্রসাদ অধিকারী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূক্তভোগী ৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষের দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে উক্ত স্থানে একটি ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নিবেন সে আশায় রয়েছেন ভূক্তভোগিরা।