খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭: একদিনের সফরে বুধবার মরক্কো গিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে উপমহাসাগরীয় প্রতিবেশি দেশগুলোর বিবাদ, লিবিয়ার সংকট ও সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে কথা বলাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ম্যাক্রোঁর। তবে মরক্কোর উদ্দেশ্যে সফরের আগে ফ্রান্সের এলেসি প্যালেস থেকে বলা হয়েছিল, মূলত কাতার সংকট সমাধানই ম্যাক্রোঁর কাছে এই সফরের প্রধান বিষয়।
মরক্কোর রাজধানী রাবাতে পৌঁছানোর পর দেশটির বাদশাহ মোহাম্মেদ (৬) ও তার স্ত্রী রাজকুমারী লালা সালমা ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি ব্রিজিতিকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন। বিমান বন্দর থেকে তাদের রাবাতের রয়েল প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয় বৈঠক করতে।
বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে ম্যাক্রোঁ জানান, ফ্রান্স ও মরক্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও উন্নত করতেই তার এখানে আসা। এছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করে দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুরক্ষা স্থাপন ও আঞ্চলিক সীমায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল।
তবে কাতার ও লিবিয়ার সংকট সমাধানের বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি কাতার সংকট নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয় ও আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগে ৫ জুন সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর , বাহারাইন ও আরব উপসাগরীয় দেশসমূহ কাতারের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কাতারকে তারা বয়কট ঘোষণা করে।
মধ্যপ্রাচ্যে আগে থেকেই যে সংকটগুলো চলমান ছিল কাতারকে বয়কট ঘোষণার পর তা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ম্যাক্রোঁ। কেননা আন্তজার্তিক সন্ত্রাসবাদ দমনে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা প্রয়োজন। কাউকে বয়কট করায় বর্তমান উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে মনে করেন না ম্যাক্রোঁ।
বৈঠক শেষে বাদশাহ মোহাম্মেদের বাসভবনে ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিতি ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন। একটি রাত রাবাতে কাটানোর পর বৃহস্পতিবার তারা ফ্রান্সের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেবেন বলে জানা গেছে। ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর।