Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার ,১৬  জুন, ২০১৭: 16হার্ট ভালো রাখার জন্য খাদ্য তালিকার ওপর নজর রাখাটা খুবই জরুরি। তার মানে আবার এই নয় যে, রাতারাতি আপনার খাবারের অভ্যাস বদলে ফেলতে হবে।

আপনার রোজকার ডায়েটে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই হার্টের রোগ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

যেসব খাবার হার্টের জন্য ভালো
ক্যারটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাবেন। এ ধরনের খাবারে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্ট ভালো রাখার জন্য অন্যতম একটি উপাদান। হলুদ, সবুজ, কমলা, লাল রঙয়ের সবজি ক্যারটিনয়েড সমৃদ্ধ।

ফলের মধ্যে অ্যাভোকাডো হার্টের জন্য সব থেকে উপকারী। অ্যাভোকাডোতে সব ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বিশেষ করে অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই আছে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিন-ই খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া কমলা, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, আঙুর, লেবু, ইত্যাদি ফলে প্রচুর ভিটামিন-সি রয়েছে, যা হার্টের পক্ষে খুব উপকারী।

কী ধরনের খাবার খাবেন
সবুজ শাকসবজির মধ্যে পালংশাক, ধনিয়াপাতা, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, কুমড়া, লাউ, ব্রকোলি, গাজর, ভুট্টা, বিট, পেঁয়াজ, মিষ্টিআলু হার্টের জন্য ভালো।

প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে সয়াবিন, বাদাম, সূর্যমুখী বা তিলের বীজ, রাজমা, ডাবলি বুট, তৈলাক্ত মাছ খেতে পারেন।

বার্লি, জোয়ার, বাজরা, আটার রুটি, ওটস, ব্রাউন রাইস হার্টের জন্য উপকারী।

মশলার ভেতর আদা এবং রসুন রান্নায় ব্যবহার করুন। এসব মশলা খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ ব্যালান্স করে, কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।

কী ধরনের খাবার খাবেন না
ময়দা, চিনি, প্রসেড ফুড, ডিমের কুসুম, লাল মাংস না খেলেই বেশি ভালো। খেলেও পরিমাণে খুবই কম খাবেন। দুগ্ধজাতীয় খাবার কম খাবেন। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। সিগারেট খাবেন না।

রান্নায় কী ধরনের তেল ব্যবহার করবেন
মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। বাদাম তেল, অলিভ অয়েল, তিলের তেলে রয়েছে মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। রান্নায় এই ধরনের তেল ব্যবহার করুন। ভেজিটেবল অয়েল দিয়েও রান্না করতে পারেন। এতে আছে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্টের জন্য ভালো। নারিকেল তেল বা পাম অয়েল রান্নায় ব্যবহার করবেন না।

হার্ট ভালো রাখার জন্য মিল প্ল্যান
হার্ট ভালো রাখার জন্য মিল প্ল্যান করার সময় ডায়েট চার্টে ৩ ধরনের খাবার অবশ্যই রাখবেন-

* সবজি সিদ্ধ, কাঁচা বা হালকা তেল দিয়ে রান্না করা।
* দানাশস্য, তৈলাক্ত মাছ।
* ফল, বাদাম, ভেজিটেবল জুস।

এভাবে মিল প্ল্যান করলে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় সব উপকরণের মধ্যে ব্যালান্স বজায় থাকবে।

মেনে চলবেন
* প্রতিটি মিল প্ল্যানের সঙ্গে সালাদ ও সবুজ শাকসবজি অবশ্যই রাখুন।
* সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাবেন।
* তাড়াতাড়ি ডিনার করুন।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন।