খােলা বাজার২৪।। শনিবার , ১৭ জুন, ২০১৭: অর্থমন্ত্রী ইঙ্গিত করেছিলেন যে ভ্যাটের ব্যাপারে একটা সহনীয় পরিস্থতি আসবে কিন্তু সেটি হয়নি। এতে সবাই হতাশ হয়েছেন। আবার একলক্ষ টাকা ব্যাংকে থাকলে আবগারি শুল্ক দিতে হবে। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরাও আবগারি শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত যৌক্তিক মনে করেছেন না। তারা বলছেন, শুল্ক বাড়লে লেনদেনের অবৈধ মাধ্যম উৎসাহিত হবে।
শুক্রবার রাতে চ্যানেল আই-এর আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন শেকিল চৌধুরী।
শেকিল চৌধুরী আরো বলেন, বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া বলেন,“ব্যাংক আমানতে বাড়তি আবগারি শুল্ক থেকে সরকার কত পাবে? আয় আসবে ৭০০ কোটি টাকার মত। এরজন্য বিপুল লোকের আয় কমিয়ে দেবে। তিনি আরো বলেন, এই আবগারি শুল্ক যদি সাধারণ মানুষের উপরে চাপানো হয় তাহলে সেটি তাদের উপরে জুলুম হয়ে পড়বে। আমি বলবো, অর্থমন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ মানুষ, তারই উচিৎ হবে এই আবগারি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে জেদ না ধরার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বিনীতভাবে বলব, বাজেটে আবগারি শুল্ক নিয়ে যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সরকার জনগণের জন্য বাজেট দেয়, অর্থের জোগানও জনগণকেই দিতে হয়। তাই আবগারি শুল্ক, ভ্যাট যেন সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি চাপের কারণ না হয়, সেদিকটা খেয়াল রাখারও দরকার আছে। তাই নতুন বাজেটে আবগারি শুল্ক ও ভ্যাট নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ বিষয়ে জনগণ, সাংসদ, বিশেষজ্ঞরা যে অভিমত, দাবি জানিয়েছেন সে বিষয়ে সাড়া দিয়ে আবগারি শুল্ক ও ভ্যাটের হার কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরো বলেন, মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) হার সহনীয় মাত্রায় রেখে যথাসময়ে নতুন আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। সব কিছু বিবেচনা করে ভ্যাট আদায় করতে হবে। এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সাধারণ জনগণের কষ্ট বাড়ে। তাই প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দরকার। আর সেখান থেকে আমরা হয়তো কিছু একটা সমাধান পেতে পারি। এবং আবগারি শুল্কের উপরে কিছু করা দরকার। তানাহলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সাধারণ মানুষ সরে যাবে।