খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭: রাজধানীর গাবতলী পশুরহাটে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছে ১৩টি গরু, ৫টি ছাগল ও একটি ভেড়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা সাড়ে ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নির্বাপণ করে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হলেও দোকানগুলোর সিলিং প্লাস্টিক ও দাহ্য পদার্থের হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা নাজমা আক্তার জানান, সকাল ১০টা ৪ মিনিটে খবর পেয়ে কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাড়ে ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। কিন্তু এর আগেই রাজধানীর সবচেয়ে বড় এ পশুরহাটের তিনটি টিনসেড ছাউনি পুড়ে যায়। ছাউনিতে থাকা পশুগুলো আগুনে পুড়ে মারা যায়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান জানান, অগ্নিকা-ের ঘটনায় ১৪টি গরু পুড়ে মারা গেছে। এছাড়া ২৬টি গরু দগ্ধ হয়। দগ্ধ গরুগুলোকে জবাই করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আগুনের সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে অন্তত অর্ধশত গরু-ছাগল চুরি হয়ে গেছে।
হাটের একজন ব্যবসায়ী জানান, প্রথমে হাটের দোচালা একটি ছাউনিতে আগুন লাগে এবং পরে পাশের দুই ছাউনিতে তা ছড়িয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ী সমিতির মতে, অগ্নিকান্ডের সময় পুড়ে যাওয়া তিন ছাউনিতে কয়েকশ’ গবাদি পশু রাখা ছিল। আর হাটে সে সময় ছিল অন্তত চার হাজার গবাদি পশু।
হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সারওয়ার হোসেন বলেন, হাটে আনা পশু যেসব ছাউনিতে বেঁধে রাখা হয় সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি। ফলে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে বেধে রাখা সব পশু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। যেগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল সেগুলো কোনোরকমে বাঁচানো গেছে। কিন্তু শেকল বা চেইন দিয়ে বাঁধা পশুগুলো পুড়ে মারা গেছে।
পশুহাটের এক ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া জানান, হাটে থাকা ছয়টি গরুর মধ্যে পাঁচটিই পুড়ে মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ব্যবসায়ী হোসেন ব্যাপারী জানান, হাটে থাকা ৪৯টি গরুর মধ্যে ৭টি পুড়ে মারা যায়। দগ্ধ অবস্থায় ৬টি গরু জবাই করা হয়েছে। ২৫টি গরু আংশিক পুড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, আগুন লাগার পর দ্রুতই ছড়িয়ে যায়। তাড়াহুড়ো করে গরুর দড়ি কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু বড় গরুগুলো শিকল দিয়ে বাঁধা থাকায় সেসব ছাড়ানো যায়নি। ১৩টি গরুতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।