খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭: দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক জনদুর্ভোগের। বিশেষ করে দেশের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় মানবেতর অবস্থায় রয়েছেন তারা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি (ফুলছড়ি পয়েন্টে) বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি (গাইবান্ধা পয়েন্টে) বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে তিস্তা নদীর পানি (সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে) ও করতোয়া নদীর পানি (কাটাখালি পয়েন্টে) বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা ছুঁই ছুঁই করছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে।
এতে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে নিম্ন ও চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বাঁধের ১৫টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানির চাপে যেরকানো মুর্হূতেই বাঁধের অংশগুলো ছিঁড়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে।
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জামালপুরে মঙ্গলবার যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইসলামপুর বেলগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার পানিতে ডুবে রিপন (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।