খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭: সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আইনী জটিলতা ও দীর্ঘ সূত্রিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশে আসছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল।
সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের এই সফর নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কাথা বলেন প্রবাসি কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহাম্মেদ।
সফরে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহাম্মেদ বলেন, আমরা আলোচনার এজেন্ডার জন্য পাঁচ থেকে ছয়দিন আগে আলোচনার প্রস্তাব পেয়েছি। সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর যেসব মামলা মোকদ্দমা রয়েছে সেগুলোর বেশি কিছু পেন্ডিং রয়েছে। মূলত সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশের ত
রফ থেকে কোন বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে ?
জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের ওয়েট প্রোডাকশনের কথা বলবো। শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলবো। বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নেয়ার কথা বলবো। আলোচানার জন্য এই বিষয়গুলো নির্ধারণ করেছি।
সৌদি আরবে বাংলাদেশি নারী কর্মীরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হন। শুধু তাদের বিষয়ে আলোচনা হবে, নাকি সৌদি আরবে বাংলাদেশি যত শ্রমিক কাজ করছেন সবার বিষয়ে আলোচনা হবে ?
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন
, আসলে সৌদি আরবে ট্রাফিক এক্সিডেন্ট কেস টু কেস নিষ্পত্তি করতে হয়। তাদের যে ক্লেইম থাকে সে ক্লেইমগুলো নিষ্পত্তি করাতে হয়।এগুলোর কিছু জটিলতা আছে।এ জটিলতার কারণে আমরাও ঠিকমতো রেসপন্স করতে পারি না। তারও ঠিকমত নিষ্পত্তি করতে পারে না। এগুলো সহজ করা যায় কিভাবে এ বিষয়গুলো নিয়ে মূলত আলোচনা হবে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের দূতাবাস থাকা সত্ত্বেও কেন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে আলোচনায় আগ্রহী হওয়ার কারণ কী?
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে দূতাবাস সব বিষয় দেখতে পারে না। দূতাবাসের পক্ষ থেকে লোকবল বাড়ানোর জন্য হয়তো আবেদন আসবে। এছাড়া, দূতাবাসকে ডিজিটালাইজড করার আবেদন আসতে পারে। ডিজিটালাইজড হলে কো-অপারেশনের বাড়বে। প্রোসেসগুলো আরও সহজ হবে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের মামলা ও কারাগারে আটক সংখ্যা বিষয়ে কোন পরিসংখান আছে কী?
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এগুলো ক্রিমিণাল ইস্যু না। এগুলো একেবারে সিভিল ইস্যু। ধরুন, একজন কর্মী মারা গেছে কিন্তু তার দেনা-পাওনা বিষয়ে অভিযোগ আছে। এধরনের দেনা পাওয়ানাগুলো নিষ্পত্তি হয় কোর্টের মাধ্যমে। কর্মী ছাঁটাই সম্পর্কিত দাবিদাওয়া মামলার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার হতে পারে।
বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের হয়রানির বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
এটা আসলে সে ধরনের বৈঠক না। এ বিষয়গুলো এজেন্ডাতেও নেই। এটার জন্যে আমাদের আলাদা কমিটি আছে। যদি সুযোগ পাই তবে এ বিষয়গুলার আলোচনার সাইডলাইনে রাখবো।
সূত্র : বিবিসি বংলা