খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে অাসছে ততই জোট মহাজোটের শরিক দলগুলোর নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিকদল বাংলাদেশ লেবার পার্টি। নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৫ মিরপুর অাংশিক-কাফরুল অাসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনায়ন পেতে ব্যাপক গনসংযোগ ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন। ইতোমধ্যে জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে স্বস্ত্রীক দেখা করে নিজের কর্মকান্ডের বিষয়ে অবগত করিয়েছেন।
১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার দুঃশাসন বিরোধী সংগ্রামে গঠিত “সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে কো-কনভেনর ছিলেন তিনি। বাম ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতে খড়ি হলেও বর্তমান সময়ে অাধিপত্যবাদ ও সাম্রজ্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী শিবিরে তিনি অালোচিত। ২০০৭ সাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সমমনা ও ২০১২ সালে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক তিনি। বেগম খালেদা জিয়াকে মঈনুল রোডের বাড়ী থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে জোটের ডাকা হরতাল কর্মসুচীতে গ্রেফতার হন ডাঃ ইরান। জোট ও দলের কর্মকান্ডে সম্মুখ ভাগে ভুমিকা রাখার কারনে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে ২৫ ডিসেম্বর মতিঝিলে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার শিকার হন তিনি।
৫ জানুয়ারী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত অবরোধ কর্মসুচীতে রাজপথ থেকে পুনরায় গ্রেফতার হয়ে কারাবরন করেন। বেগম জিয়ার নেতৃত্ব ১২ বছর যাবৎ অান্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা, জ্বালাময়ী ভাষন ও তরুন সংগঠক হিসাবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের গুডবুকে অাবস্থান করতে সক্ষম হয়েছেন। ১/১১ জরুরী সরকারের বিরুদ্ধে জরুরী অবস্থা চলাকালে অালোচনা সভা, সেমিনার করে ঘরোয়া রাজনীতিতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখেন তিনি। একারনে জরুরী সরকার তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
একটি সুত্র জানিয়েছে, অাগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া তরুন নেতৃত্ব ক্ষমতায়নে বেশি অাগ্রহী। সেক্ষেত্রে দল ও জোটের মনোনায়নে তরুন সংগঠকরা বেশি মুল্যায়িত হবেন। সে হিসাবে বিগত অাল্দোলন সংগ্রামে ত্যাগ ও কর্মকান্ডের বলিষ্ঠ ভুমিকার কারনে জোট শরিকদের মধ্যে ডাঃমোস্তাফিজ দেশনেত্রীর স্নেহভাজন হিসাবে বেশি এগ্রিয়ে। তাছাড়া বিগত নির্বাচনে প্রতিদন্ধীতাকারী উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খানের ইন্তেকালে যোগ্য প্রাথী হিসাবে এগিয়ে অাছেন। কাফরুল অাসনে বরিশাল অঞ্চলের ভোটার বেশী হওয়ার তিনি বাড়তি সুবিধায় অবস্থান করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ ইরান বলেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা রক্ষা এবং দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লেবার পার্টি দেশনেত্রীর নেতৃত্বে চলমান অান্দোলন সংগ্রামে রাজপথে অাছি। অামরা জাতীয়তাবাদী গনতন্ত্রীক দল হিসাবে রাজপথের পাশাপাশি শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের পক্ষে সংসদে ভুমিকা রাখতে কাজ করছি। কাফরুলে দীর্ঘকাল ও লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওঃ মতিন বসবাসের কারনে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত হিসাবে নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। দেশনেত্রী অান্দোলন সংগ্রামে অামার ও লেবার পার্টির ভুমিকাকে অবশ্যই মুল্যায়ন করবেন অামরা বিশ্বাস করি। নমিনেশন পেলে ঢাকা ১৫ অাসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।