খােলা বাজার২৪।।শনিবার, শনিবার ২৯ জুলাই, ২০১৭: গত রাত ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উল্লাস পরিবহন তারাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে লাশ সহ আটক। পারিবারিক সূত্র থেকে মৃত্যু ব্যক্তি পরিচয় কামরুজ্জান জয় হিসেবে জানা যায়।
উল্লেক্ষ্য যে মৃতঃ কামরুজ্জামান জয় উক্ত পরিবহনের সুপার ভাইজার। রংপুর সিওবাজার থেকে তারাগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসা উক্ত পরিবহনের ড্রাইভার নওশাদ(৪০)ঘটনার বর্নণা করে বলেন,
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উল্লাস পরিবহনের ড্রাইভার মোঃ নূরনবী বাসা ফেনী, তিনি রংপুর বাস টার্মিনাল শ্রমিক ইউনিয়ন পর্যন্ত লাশ সহ গাড়ী পৌচ্ছে নিখোঁজ হয়। তখন রংপুর শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে সৈয়দপুরের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ও উক্ত পরিবহনের মালিক আক্তার হোসেন বাদলের সাথে কথা বলে। শ্রমিক নেতা আক্তার হোসেন বাদল লাশ সহ গাড়ীটি সৈয়দপুর পর্যন্ত পৌছানোর জন্য বলেন। রংপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়ন কতৃক গাড়ীটি রংপুরের সিও বাজার পর্যন্ত পৌছায়। সেখান থেকে অারেকটি উল্লাস গাড়ীর ড্রাইভার নওশাদ (৪৫)ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি (৬০) সহ সিওবাজার থেকে গাড়ীটি নিয়ে আসার পথে তারাগঞ্জ চৌপুঁথি বাসস্ট্যান্ডে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ গাড়ীটি আটক করে। বর্তমান নওশাদ ও সহযোগী ব্যক্তিসহ দুজনেই পুলিশ হেফাজতে আছেন। লাশের ওয়ারিশ হিসেবে থানায় উপস্থিতি ব্যক্তি মোঃ মাহমুদুল হক চৌধুরী মৃত্যু ব্যক্তির শালা। তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কে বা কাহারা তার ছোট বোন মোছাঃ লতিফা চৌধুরীকে ফোন করে শারীরিক অসুস্থ্যতায় কামরুজ্জামান জয়ের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে। তখন ছোট বোনের কাছ থেকে ফোনে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হয়ে মাহমুদুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন। মাহমুদুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে মৃতঃ জয়ের পারিবারিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কামরুজ্জামান জয়(৪০) দুইটি মেয়ে সন্তানের বাবা।
তার বাবা মৃতঃ মোঃ মকবুল চৌধুরী।
মৃত কামরুজ্জামান জয় সৈয়দপুর কয়নিচ পাড়ায় ও তারাগঞ্জে ভাড়া বাসা থাকেন। তার স্থানীয় বাড়ী রংপুরের রবার্টশনগঞ্জে। তিনি উল্লাস পরিবহনের নিয়মিত সুপারভাইজার। ঢাকা থেকে আসার পথে এ ঘটনা ঘটেছে,এর বাইরে আর কিছু সে জানেন না বলে কথা শেষ করেন। মর্মান্তিক এ ঘটনা সম্পর্কে তারাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আঃ লতিফ মিঞা পিপিএম বলেন বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখছি।
বর্তমানে লাশসহ উল্ল্যাস পরিবহনটি তারাগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।