খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭: ২৬ আগস্ট, ভরদুপুরে গিয়ে পৌঁছালাম। হাসিমুখে দরজা খুলে দিলেন তিনি নিজেই। রাজধানীর নিকেতনের সেই বাড়িতে ঢুকতেই রান্নার সুগন্ধে মন ভরে গেল। গল্প করতে করতেই সেরে নিচ্ছিলেন রান্নার বাকি কাজগুলো। রান্নায় যে পটু সেটা তাঁর রান্নার তদারকি দেখেই বুঝতে পারছিলাম। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও নকশার জন্য সময় বের করেছেন গানের দল চিরকুটের শারমীন সুলতানা সুমি। আগের দিন সারা রাত স্টুডিওতে গানের রেকর্ডিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সকালে বাড়ি ফিরেই রান্না করতে লেগে যান। তারপরও চোখে-মুখে নেই কোনো ক্লান্তির ছাপ। রান্না পছন্দের কাজ বলেই হয়তো। তাঁর পছন্দের ঈদের নানা পদ রান্না করেছেন।
রান্নাবান্না নিয়ে গল্প করলেন সুমি। ‘বাড়িতে বোনরাই রান্নার দায়িত্ব পালন করত। একজনের বিয়ে হয়ে গেলে আরেকজনের ঘাড়ে এসে পরত রান্নার দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই আমার রান্না শেখা।’ সুমি জানালেন নিজে থেকেই শিখেছেন অনেক কিছু। রান্নায় হলুদ, আদা, ধনেপাতা ব্যবহার করেন না কখনোই। কাটা মসলা দিয়ে রান্না করেন। রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার বেশি হয়। ছোট মাছের চচ্চড়ি, বেগুন দিয়ে মাছ, চালকুমড়া ভাজির মতো দেশি পদ রান্না করতে পছন্দ করেন এই সংগীতশিল্পী। নিজের পরিবারে সুমির রান্নার যেমন সুনাম রয়েছে, তেমনি তাঁর হাতের চা-ও পছন্দ করেন সবাই।
খাওয়ার সময় মসলার গন্ধ শুঁকেই তিনি বলে দিতে পারেন কী কী ব্যবহার করা হয়েছে। সুমি জানালেন, ‘যে কাজটাই করি, মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। রান্নাটাও সে রকম। রান্না করার সময় পুরো মনোযোগ সেখানেই থাকে।’ খাওয়ার সময় বোঝা গেল কথা সত্যি। ঈদের দিনে একসময় রান্না করা হতো কোনো না কোনো কিছু। এখন অবশ্য সে সময় ও সুযোগ কম।
ছবি তোলার মধ্যেই উপস্থিত হলেন চিরকুট দলের অন্য সদস্যরা। সুমির কাছে তাঁরা পরিবারের সদস্যের মতোই। একা কোনো কিছুই যেন করতে চান না। বাড়িতে ভালো-মন্দ কিছু রান্না হলে তাঁদের ডাক পড়বেই। সেদিনও নিজ হাতে রান্না করা খাবার দলের সবাইকে নিজের হাতেই পরিবেশন করলেন। ঈদের দিনে তাঁদের সঙ্গে দেখা করাটাও যেন অনেকটা আবশ্যক। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি দলের যাঁরা ঢাকায় থাকেন ঈদের দিন তাঁদের সঙ্গে ঘুরতে বের হন।