Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭: চীন বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক আজ দুই দেশের জনগনের সম্পর্কে পরিনত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চীনের অবস্থান সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

 

তিনি বলেন, চীন বিপ্লব শোষকের বিরুদ্ধে শোষিত মানুষের মুক্তির পথ দেখিয়েছে যা অনাদিকাল মুক্তি সংগ্রামে আমাদের অনুপ্রেরনা যোগাবে। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ দেশে দেশে দারিদ্র-বৈষম্য যুদ্ধ আগ্রাসনের বিস্তার ঘটিয়েছে, পরিবেশ ধ্বংস করে পৃথিবীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ হলো জনগনের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম।

 

বুধবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে চীন বিপ্লবের ৬৮তম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে সফল বিপ্লবের পর পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ উপলক্ষে চীনের জনগণকে অভিনন্দন। স্বাধীন বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির সঙ্গে আন্তরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক সবাই চেয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধ দেশটি সঙ্গত কারণেই এখন বাংলাদেশের বাণিজ্য ও উন্নয়নের প্রধান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

 

তিনি চীনের মহান নেতা মাও সেতুং ও বাংলাদেশের মহান নেতা মওলানা ভাসানীর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের সূচনা সেই পাকিস্তান আমল থেকেই। ১৯৬৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চীন বিপ্লব দিবসে মহান নেতা মওলানা ভাসানীর চীন সফর এবং চীনে সাত সপ্তাহ অবস্থানের মাধ্যমে এ সম্পর্কের সূচনা হয়। গত প্রায় ৭ দশকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।

 

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, এদেশের শাসকশ্রেণী দুর্বল। সাম্রাজ্যবাদের সাথে গাটছড়া বাধা এই শাসকশ্রেণী জনগণের উপর এক ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম রেখেছে। এই শাসকশ্রেণী দাঁড়িয়ে আছে চুরি, লুন্ঠন, দুর্নীতির উপর। দেশের জনগণের শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থানের বিষয়ে এদের কাছে অগ্রাধিকার নেই। বর্তমান সরকার দুস্কৃতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। আর এই দুস্কৃতি অব্যাহত রাখতে জনগণের উপর চাপিয়েছে রাষ্ট্রীয় হত্যা-সন্ত্রাস-গুম।

 

তিনি বলেন, এই শাসকশ্রেণীকে ধাক্কা দিতে যে পরিমান শক্তির দরকার ছিল, সেই শক্তি আজ অর্জন করতে হবে। এদেশের জনগণের অভ্যুত্থানের যে ঐতিহ্য রয়েছে সেই ঐতিহ্যের উপর দাঁড়িয়েই সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসন ফেলে দিতে হবে। জনগণের হাতে ক্ষমতা আনতে হবে, এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যাদের নিকট বাংলাদেশ আগে।

 

ন্যাপ নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক কমরেড রফিকুল ইসলাম, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব আল আমিন ভুইয়া রিপন, ন্যাপ রংপুর জেলা সমন্বয়কারী রেজাউল করিম রিবন, ঢাকামহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টি নগর সদস্য সৈয়দ মাসুদ আলম, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্র সমন্বয়করী সোলায়মান সোহেল, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।