খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭: আমি উদ্বাস্তু। তাই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের কষ্ট কি, তা আমি জানি। কারণ আমার পূর্বপুরুষরাও উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ থেকে ভারতের আসামে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। টিভিএনএ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসামের বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দিলীপ কুমার পাল এসব কথা বলেন। সিপিএ সম্মেলনে যোগদান শেষে হোটেল সোনারগাঁও এ সাক্ষাৎকারটি দেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার দিলীপ কুমার বলেন, ভারত সরকার মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আগ্রহী। ভারতবর্ষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন ২০১৭ তে অংশ নেয়া সকল ডেলিগেটের কাছে একরকম আর আমার কাছে অন্য রকম। কারণ এটা আমার পিতৃভূমি। আমার বাবার জন্ম এখানেই। ১৯৫০ এর পর দেশভাগের সময় তিনি ভারতবর্ষে চলে গিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব প্রজন্মের উত্থান ও নারী ক্ষমতায়নের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এবারের সম্মেলনে। রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এসেছিলেন এ বিষয়ে আলোচনার জন্য। এটা কেন্দ্রের ব্যাপার, তবে আমি মনে করি এটা একটি মানবিক সমস্যা। এ সমস্যা সারা বিশ্বজুড়েই চলছে। শুধু ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এর মূল কারণ সন্ত্রাসবাদ। রোহিঙ্গা সমস্যা একদিনের নয়, এ সমস্যা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এর আগেও সেখান থেকে শরণার্থী এসেছে তবে এবারের সংখ্যাটা বেশি।
দিলীপ কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে যেটা খুবই ভালো উদ্যোগ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারেরও টার্গেট রয়েছে। সেটি হল ২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। আমরা চাই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে শক্তিশালী হোক।
দিলীপ কুমার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা আমি বুঝি, কারণ আমিও একজন উদ¦াস্তু। দেশভাগের সময় অনেকে এদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলাম। আমার সৌভাগ্য আমি দঁড়িয়ে যেতে পেরেছি। কিন্তু এখনও অনেকে আছে যারা তিন পুরুষ থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন। তবুও নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারেনি।