খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ইউরোপের ব্রেক্সিট ও আমেরিকার মাইগ্র্যান্ট নীতি পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বের রেমিটেন্স কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে রেমিটেন্স কমার হার সর্বোচ্চ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের রেমিটেন্স কমার হার বেশি। বিআইবিএম এর গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে ‘ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” শীর্ষক এ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
বিআইবিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরী। পুবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহেমদ চৌধুরী, বিআইবিএম এর সুপারনিউমারি প্রফেসর ইয়াসিন আলী ও এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হুসাইন। গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ড. শাহ মো. আহসান হাবিব।
গবেষণায় উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে রেমিটেন্স ছিল সর্বোচ্চ। সে সময় বিশ্বের মোট রেমিটেন্স আহরণের মধ্যে বাংলাদেশের হার ছিল ৫ দশমিক শুণ্য ৫ শতাংশ। আর ২০১৬ সালে নেমে আসে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ২০১৭ সালের এ হার আরও নেমে এসেছে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের রেমিটেন্স কমার হার সর্বোচ্চ। রেমিটেন্স কমার এহার ও ধরণ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য পূর্ব ক্ষতিকর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে হেলাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য রেমিটেন্স খুবই গুরুত্ব বহন করে। দেশের কাছে থেকে কিছু না নিয়ে একজন প্রবাসি বৈদেশিক মূদ্র্া নিয়ে আসে। অন্যদিকে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প যে বৈদেশিক মূদ্রা নিয়ে আসে তার তিন-চতুর্থাংশ বিদেশে পাঠায়। এখন সময় এসেছে বিদেশে বাংলাদেশের দুতাবাসগুলোতে রেমিটেন্স আহরণে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়ার।
প্রফেসর ইয়াসিন আলী বলেন, রেমিটেন্স পাঠানোতে ব্যাংকিং খাত বর্হিভূত মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মানে হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রযুক্তি ও সেবার সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের প্রযুক্তি পেরে উঠছে না। এসব মেনে নিয়েই রেমিটেন্স আহরণে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগুতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন।