Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭: মুষল ধারে বৃষ্টি হলে প্রাকৃতিকভাবে আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যায়। আবার অনেকের শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে ঠান্ডা লাগে। এই ঠান্ডার ফলে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
কিন্তু হঠাৎ এমন পরিস্থিতি কী করবেন? একটু সাবধান থাকলেই এই ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শীতে অনেকেই গোসল করেন না, মনে করেন গোসল করলে ঠান্ডা লেগে যাবে, এটা কিন্তু ভুল ধারণা গোসল করা উচিত প্রতিদিন কারণ বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে ভালোভাবে হাত-পা পরিষ্কার করা গেলে ধুলার কারণে হওয়া সর্দি-কাশির ঝুঁকি কম থাকবে নিয়মিত গোসল করা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য।

সর্দি লাগলে এবং সেই সাথে কাশি থাকলে আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি মসলা চা পান করলে দারুন উপকার পাওয়া যাবে। দিনে একাধিকবার এই চা পান করা যাবে। এতে গলার খুসখুসেভাব কমে আসবে। কাশি বেশি হলে কফ সিরাপ খাওয়া যেতে পারে।

তবে কাশি দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুখ খেতে হবে। ঠান্ডায় পানি খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। আর এতে ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং গলা শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সারাদিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস ধরে রাখতে হবে। ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে গরম পানিত মেনথল মিশিয়ে সেই ভ্যাপার নাক-মুখ দিয়ে টানলে বন্ধ নাক দ্রুতই খুলে যাবে এই ফুটন্ত পানির ভাপ নিঃশ্বাসের সঙ্গে টেনে নিলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যার সাথে সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যা থেকেও খানিক মুক্তি দিবে। সর্দি হলে অনেকে নাক পরিষ্কারের জন্য নাক ঝেড়ে থাকেন। তবে বেশি জোরে নাক ঝারলে শ্লেষ্মা কানের গ্রন্থিতেও ছড়িয়ে যেতে পারে বা কানের ভিতরে আঘাত লাগতে পারে। তাই মনে রাখবেন নাক পরিষ্কার করতে বেশি জোরে নাক ঝারা উচিত নয়।

অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে গলার ভিতেরের টনসিলে ইনফেকশন হতে পারে। টনসিলে ইনফেকশনের কারণে গলায় ব্যথা ও জ্বর হতে পারে। তাই যথাসম্ভব ঠান্ডা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। যেমনঃ ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রীম ইত্যাদি। ঠান্ডা বাতাসে বেশি ঠান্ডা লাগে বটে, কিন্তু সেটা ঠান্ডা-জ্বরের একমাত্র কারণ নয়। এটা ঠিক, ঠান্ডার কারণে সহজে জ্বর হয়। কারণ, ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গেলে তার ধাক্কা সামলাতে শরীরকে যথেষ্ট ঝক্কি পোহাতে হয়। স্বাভাবিক ঠান্ডা জ্বর হলে প্যারাসিটামল কিংবা স্পঞ্জিং করে জ্বর চলে যেতে পারে। যদি ৩ দিন বা তার অধিক দিন জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।