Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭: ঠিক আগের ম্যাচের চিত্রই যেন ফিরিয়ে আনলো খুলনা টাইটান্স। আগের ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল দলটি। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ও আরিফুলের ব্যাটে চিটাগংকে দিয়েছিল চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ম্যাচটা তারা জিতে নেয় ১৮ রানে। মঙ্গলবার বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষেও একই চিত্র। ৪৬ রানে ৩ আর ৭১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান খুলনার। এবার আর চ্যালেঞ্জিং স্কোর বলা না গেলেও লড়াইয়ের পুঁজি তো বলাই যায়। জিততে হলে ১৫৭ রান করতে হবে ঢাকাকে।
খুলনার এম্যাচে ১৫৬ রান করার পুরো কৃতিত্ব কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের। ২৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৬টি ছক্কা ও ৪টি চার হাঁকিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। পঞ্চম উইকেটে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন রাইলি রুশো। বিপর্যয়ের মাঝে দুজনের জুটি ৫৪ রানের। রুশো ৩০ বলে ৩ চারে ৩৪ রান করেছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানেই ২ উইকেটে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। ৪৬ রানে পড়ে তাদের তৃতীয় উইকেট। নাজমুল হোসেন শান্ত ও ক্লিঙ্গারের ওপেনিং জুটিকে ২২ রানের বেশি করতে দেননি ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ক্লিঙ্গারকে ব্যাক্তিগত ১০ রানে আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচে পারিণত করেন সাকিব। এরপর আবু হায়দার রনির বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ হয়েছেন ধীমান ঘোষ। এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়ে ২ রান করেই ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই উইকেট কিপার। ভাল খেলতে থাকা শান্ত ২৪ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও রাইলি রুশো ২৫ রানের জুটি গড়েন। ১৪ রান করা মাহমুদউল্লাহকে এবার ফিরিয়ে দেন শহীদ আফ্রিদি।

কিন্তু এরপরই রুশো এবং ব্রাথওয়েটের ব্যাটে প্রতিরোধ খুলনার। ঢাকার বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। এছাড়া ১টি করে উইকেটে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, শহীদ আফ্রিদি, সুনিল নারিন। দুই দলের প্রথম দেখায় ঢাকা জিতেছিল ৬৫ রানে।