Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭: পর্যটনের ভরা মৌসুমেও পর্যটক শূন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সৈকত এলাকা। পর্যটকবাহী নৌকাগুলো মাঝি-মাল্লা ছাড়াই অলস পড়ে আছে সৈকতে। রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান, ডাব বিক্রেতাদের গত আট মাসে কোন ধরনের বেচা-কেনা ছিলো না বললেই চলে। অথচ এখানকার বাসিন্দাদের আয়ের মূল উৎসই হলো পর্যটন।

সেন্টমার্টিন কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ব্যবসায় মন্দার একমাত্র কারণ বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ। ব্যবসায়ীরা জানান, লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে দেড় মাসের নিষেধাজ্ঞায় ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও এই রুটের ছয়টি জাহাজ বসে থাকার পাশাপাশি সেন্টমার্টিনের ১শ’ ৪টি হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট ছিলো পুরোপুরি পর্যটক শূন্য। ফলে স্থানীয় ১০ হাজার শ্রমজীবী মানুষ ছিলো উপার্জন ছাড়া।

স্থানীরা জানায়, অনুমতি না পাওয়ায় কারণে জাহাজ আসা বন্ধ ছিলো। তাই দোকানপাট বন্ধ ছিলো।’

শুধু সৈকত এলাকা নয়, পর্যটক আসতে না পারায় তালাবদ্ধ রয়েছে এখানকার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। দ্বীপ এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে এখানকার বাসিন্দাদের আয়ের সময় হলো ৬ মাস। বাকিটা সময় তাদের অলস কাটে। মূলত প্রতিবছর পহেলা অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল শুরু হলে তাদের আয়ের পথ খোলে। কিন্তু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় নিয়মিত ছয় মাসের পাশাপাশি পর্যটন মৌসুমের বাড়তি দেড় মাস বেকার থাকতে হয়েছে তাদের।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় অনেক মানুষের পর্যটক উৎসের ওপর রিজিক নির্ভর করে। তারা সবাই এখন অনাহারে।

পর্যটন মৌসুমের প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে ৫ হাজার এবং স্থানীয় বোটগুলোতে প্রায় দু’হাজার পর্যটক টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসে। সব মিলিয়ে গেল ৪৫ দিনে সেন্টমার্টিনের পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে অর্ধশতাধিক কোটি টাকার বেশি।

শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের আয়ের পাশাপাশি পর্যটকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ১৫ নভেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচল।

সূত্র: সময় টিভি।