খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭: আগামী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলায় শুরু হচ্ছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে। পৌর এলাকায় মাসব্যাপী কার্ড বিতরণ শেষে ইউনিয়ন পর্যায়ের ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। আগামী বছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ চলবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলায় মোট ২ লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৬ হাজার ৩৩৮ জন ভোটার স্মার্ট কার্ড পাবেন। অবশিষ্ট প্রায় ১৩ হাজার ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ বাকি থাকায় তাদেরকে পরবর্তীতে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র জানায়, আগামী ১ ও ২ ডিসেম্বর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড, ৩ ও ৪ ডিসেম্বর ২নং ওয়ার্ড, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ৩নং ওয়ার্ড, ৭,৯ ও ১০ ডিসেম্বর ৪নং ওয়ার্ড, ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ৫নং ওয়ার্ড, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ৬নং ওয়ার্ড ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর ৭নং ওয়ার্ড, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর ৮নং ওয়ার্ড এবং ২১ ও ২৩ ডিসেম্বর ৯নং ওয়ার্ডের ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভা কার্যালয়ে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। নতুন এ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য ভোটারদের নতুন করে দুটি তথ্য কমিশনকে দিতে হবে। এতে সব ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি দিতে হবে যেটা কার্ডের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত হবে।
নতুন এই দুটি তথ্য ছাড়াও ভোটার হওয়ার সময় দেওয়া আরও বেশকিছু তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে।
এগুলো হলো ব্যক্তির নাম, পিতার নাম, মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, পেশা, বয়স, বৈবাহিক অবস্থা, জন্ম তারিখ, রক্তের গ্রুপ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, লিঙ্গ, জন্মস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্ন ও ধর্ম।
এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট নম্বর, আয়কর সনদ নম্বর, টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর, মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও পরিচয়পত্র নম্বর থাকলে এবং মা-বাবা, স্বামী বা স্ত্রী মৃত হলে সে-সংক্রান্ত তথ্য, অসামর্থ্য বা প্রতিবন্ধী হলে সেই তথ্যও উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব তথ্যই স্মার্ট কার্ডে থাকবে।
বর্তমানে প্রচলিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপরে ছয়টি দৃশ্যমান তথ্য লেখা থাকে। স্মার্ট কার্ডে এ তথ্যগুলোর পাশাপাশি জন্মস্থান ও কার্ড প্রদানের সময়টি উল্লেখ থাকছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.দেলোয়ার হোসেন জানান, সদর উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে ব্যর্থ হবেন তারা পরবর্তী সময়ে জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে তাদের স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সবার সুবিধার্থে সময়মত কার্ড গ্রহণ করায় ভালো।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার নব বাংলারদশিদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণের মধ্য দিয়ে জেলাসহ সারা দেশে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ দাশিয়ারছড়ায় বিতরণ কাজের উদ্বোধন করেন।