খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭: ঝালকাঠি ও লক্ষ্নীপুরে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে দু’জেলার উৎপাদিত সুপারি এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। সূত্র- ডিবিসি নিউজ
একবার সুপারি গাছ লাগালে তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই ৩০-৩৫ বছর ফলন দেয়। এতে আয় হয় ধানের চেয়ে তিন-চারগুন বেশি অর্থ। তাই ঝালকাঠির কৃষকরা সুপারি চাষের দিকে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া সুপারি বাগানে অনায়াসে লেবু, হলুদসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা যায়।
বাজারগুলোতে স্থানীয় হিসাব মতে, প্রতি কুড়ি সুপারি ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা এসব সুপারি ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের বাজারে বিক্রি করেন।
সুপারি ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বছর ৫’শ থেকে ৭’শ গাছ থেকে ১ লাখ টাকার মতো সুপারি বিক্রি হবে।
জেলায় এ বছর প্রায় ১৫’শ হেক্টর জমিতে সুপারির ফলন হয়েছে। এখানে উৎপাদিত কয়েক কোটি টাকার সুপারি দেশের চাহিদা মেটানোর পর ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঝালকাঠির সুপারির মান অতন্ত ভালো। এবার তাই কৃষকরা ভলো দামে সুপারি বিক্রি করতে পারলে অনেক লাভবান হতে পারবে।
এদিকে লক্ষ্নীপুরের ৬ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন সুপারি। যার বাজার দর ৩৫০ কোটি টাকা। লাভজনক হওয়ায় চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে সুপারি উৎপাদনে।
লক্ষ্নীপুরের জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. সফি উদ্দিন বলেন, সুপারির উৎপাদন আরো বাড়াতে কৃষকদের বছরে অন্তত ২ বার বাগানে সার প্রয়োগ, কচুরি পানা ও বাগান পরিচর্যা করতে হবে।