খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭: নরসিংদীর জেলা একটি শিল্প নগরী এলাকার হিসেবে পরিচিত। সদর, মাধবদী ও বাবুরহাটে শিল্প কারখানায় রয়েছে অহরহ দেশের প্রধান মেঘনা, বহ্মপুর, আড়িয়াল খাঁ নদীকে ঘিরে নরসিংদী দেশের প্রধান শিল্প এলাকা। এখানে অনেক শিল্প-কারখানা রুগ্ন হয়ে গেলেও কিছু কিছু নতুন শিল্প গড়ে উঠেছে সাম্প্রতিককালে। চালুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও শিল্প-প্রতিষ্ঠান। কল-কারখানা, শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে শিল্পোদ্যোক্তাদের পদে পদে বহুমুখী বাধা-বিপত্তি, হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
শিল্প-কারখানা স্থাপনে অন্যতম প্রধান বাধা পরিবেশ অধিদপ্তর। কেননা পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ প্রধান দপ্তর ও নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের হাতে কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েছে এর কার্যক্রম। এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি ইদানীং শিল্প-কারখানা স্থাপনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কথায় বলা হয় ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়ালও ঘুষ খায়’। এ অবস্থার আশু প্রতিকার চান শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীমহল। দেশে শুধু শিল্প-কারখানা স্থাপনেই নয়; বাণিজ্যিক ও আবাসন ভবন স্থাপনের ক্ষেত্রেও পরিবেশ ছাড়পত্রের নামে যারপরনাই হয়রানি ও বেপরোয়া ঘুষ, কথিত ‘স্পিড মানি’ আদায় করা হয়।
সংশিষ্ট ভক্তভোগী কয়েকজন শিল্পোদ্যোক্তা জানান, ছাড়পত্র প্রদানের জন্য যে রেইট রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সুকৌশলে এর চেয়েও অনেক বেশিহারে অর্থ আদায় করে নিচ্ছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন মনে করেন যে, পরিবেশ ছাত্রপত্র দেয়ার পরও প্রত্যেক কারখানার মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা, কোনো দায়িত্ব পালন করছেন না তারা।
যেমন : বাবুরহাট সংলগ্ন ব্রাহ্মপুত্রের শাখা নদীটি, পাঁচদোনা সংলগ্ন পাকিজা টেক্সটাইল, হামিদা টেক্সটাইল আশপাশের শতাধিক টেক্সটাইলে বর্জে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীটি। এ দিকে কোন নজর নেই পরিবেশ কর্মকর্তাদের। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন এসব বিষয়ে নজর দেওয়া আবশ্যক।