Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: রাজনৈতিক উত্তাপ না থাকলেও বছরের শুরুটা সরব ছিলো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে। বছরের শেষভাগ পর্যন্ত তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ভরপুর ছিল। কে হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার? অতঃপর রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্রপতির সংলাপ ও সার্চ কমিটি গঠন। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নয়া সিইসির চেয়ারে বসেন সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা। বছরের শেষপ্রান্তে রংপুর সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করে প্রশংসা কুড়ালেও এখনো ইসি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপিসহ বেশ কিছু দল। সূত্র- চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক শিবিরে চলে কথার চালাচালি। সংকট উত্তরণে রাষ্ট্রপতিকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায় বিএনপি। এরপর সব রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সংলাপ শেষে ২৪ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করেন ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি। ওই কমিটি নতুন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে নামের প্রস্তাব চাইলে জমা পড়ে ১২৫টি নাম। যাচাই-বাছাই শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে ২০টি নাম পাঠায় সার্চ কমিটি।

অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারিতে সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু শুরুতেই দেখা দেয় বিতর্ক। নূরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকার বিরোধী জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠন ছিলেন তিনি। সিইসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই গণমাধ্যমে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে থাকের নূরুল হুদা। এ নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লে নীরব থাকেন দীর্ঘ সময়।

এরপর অক্টোবরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করে নূরুল হুদা কমিশন। সেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন সিইসি। বছরের শেষ দিকে এসে প্রথম পরীক্ষায় বসে নূরুল হুদা কমিশন। অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ করে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বিশ্লেষক মহল মনে করে, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। তাই নূরুল হুদা কমিশনের আসল মূল্যায়ন করতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত।