খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে চলতি বছরে ভারতের সঙ্গে বংলাদেশের তেমন কোনো অগ্রগতি না হলেও তার মানে এই নয়, তিস্তার পানি আমরা চাই না। তিস্তার পানি আমরা অবশ্যই চাই। এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা থেমে নেই।’
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিস্তার মতো একটা বিষয় নিয়ে যদি কেউ ভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অগ্রগতির দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তবে সেটা একারণেই ভুল যে, ভারতের সাথে আমাদের আরও অনেক বিষয়ে অর্জন হয়েছে। উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনা থেকে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়াতে ভ্রমন সময় কমে গেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
দীর্ঘ সময়ের আলাপচারিতায় শাহরিয়ার আলম জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দুই দেশের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকটি আগামী ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারের নেপিডোতে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই রেহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারত-চীন ও রাশিয়ার অবস্থান সম্পর্কে বলেন, যদিওবা তাদেরকে সেভাবে পাইনি, এতে খুব যে অসুবিধা হয়েছে বিষয়টি তেমনও নয়। মিয়ানমারে গণতন্ত্র নিয়ে যেসব দেশ সোচ্চার ছিল- সেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নতো রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারকে যেভাবে চেপে ধরেছে এবার সেখান থেকে বের হতে পারবেনা। কাজেই আগের প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া আর বর্তমান অবস্থার ভিন্নতা রয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত নয় লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গার ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ডেটা সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম জানান, এরমধ্যে অভিভাবকহীন ১৯ হাজার শিশু রয়েছে। যাদের অভিভাবক নেই, অথবা মিয়ানমারে রয়ে গেছে। এখনও যারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে তারা খাদ্য অভাবে ও চিকিৎসার জন্যই আসছে। এদেও সবাইকে পাঠানো যাবে কিনা সেটা পরে ভাবা যাবে।