খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর হবে কি না সে বিষয়ে রোববার সিদ্ধান্ত জানাবেন হাইকোর্ট।বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আজ আদেশ দেবেন।ওই বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকার ১ নম্বরে আদেশের জন্য রয়েছে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন।খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ হাইকোর্ট আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
এদিকে নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথি রোববার হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে। ওই নথি হাইকোর্টে পৌঁছার পর নাকি আগেই আদেশ দেওয়া হবে তা নির্ভর করছে আদালতের ওপর। তবে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে হাইকোর্ট এক আদেশে বলেছিলেন, নিম্ন আদালতের নথি পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। হাইকোর্ট গত ২২ ফেব্রুয়ারি ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ বিচার শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি এ রায়ের জাবেদা নকল পাওয়ার পর ২০ ফেব্রুয়ারি ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে আপিল আবেদন দাখিল করেন খালেদা জিয়া। ওই আপিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের দেওয়া জরিমানার রায় স্থগিত করেন। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশের কপি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পৌঁছে। তবে নথি গতকাল শনিবার পর্যন্ত হাইকোর্টে পৌঁছেনি।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেছিল। এতে খালেদা জিয়া, তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এ মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় আরাফাত রহমান কোকো মারা যান। এ কারণে তাঁর বিচার হয়নি।