খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮ : নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজে থাকা ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে হতাহতদের নিয়ে প্রকাশিত তালিকায় এতথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ওই দুর্ঘটনায় চারজন ক্রু এবং ২২ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ১০জনকে।
দূতাবাসের দেওয়া তালিকায় মৃত যাত্রী হিসেবে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ফয়সাল আহমেদ, আলিফুজ্জামান, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী,রকিবুল হাসান, সানজিদ হক, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, আঁখি মনি, মেহনাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা (শিশু), মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, পিয়াস রায়, উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান (শিশু)।
মারা যাওয়া ইউএস-বাংলার চারজন হলেন- পাইলট আবিব সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, ক্রু খাজা হোসেন ও কে এইচ এম শাফি।
দূতাবাসের তালিকায় আহত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া ১০জনের নামও জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আহতদের মধ্যে ইমরানা কবির হাসি, শাহরিন আহমেদ, শেখ রাশেদ রুবাইয়াত, আলমুন নাহার অ্যানি, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে এবং রিজওয়ানুল হক ওম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে যাত্রা করা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে তা রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থলেই ৪০ জন নিহত হন। পৃথক দুই হাসপতালে ৯ জন মারা যান।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উড়োজাহাজটির পাইলট আবিদ সুলতান এবং আহত এক যাত্রী মারা যান। এই নিয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ জনে।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনের নাগরিক রয়েছেন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা দিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।