খোলা বাজার২৪।।বৃহস্পতিবার ২৬ জুলাই, ২০১৮।।একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার প্রজন্মের উপর অর্থাৎ আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। আজকের প্রজন্ম কাঠামোর উপরই নির্ভর করতেছে আগামী দিনে কেমন হবে দেশ ও জাতি। প্রজন্ম যতো শিক্ষিত-মেধাবী-প্রজ্ঞাবান হবে জাতির ততো টেকসই উন্নতি হবে। অতএব দেশ-জাতি বিনির্মানে-টেকশই উন্নয়নে প্রজন্মের ভূমিকা অত্যাধিক। সে প্রেক্ষিতে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেমন আছে আমাদের আজকের প্রজন্ম ? আমাদের দেশের প্রজন্ম কি দেখছে-কি শিখছে-কি পাচ্ছে ? পাঠকগণের কাছে এ প্রশ্ন রেখেই লেখাটি লেখছি।
শুরুতেই বলা যায় দেশ স্বাধীনের কথা। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের ২৩ বছর ধরে শাসন-শোষণ, লাঞ্ছনা-বঞ্চনা করে আসছিল। তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক দলসমূহ ও ছাত্রসমাজ এর প্রতিবাদ করে আসছিল। প্রতিবাদমূখর পরিবেশ-পরিস্থিতিতে এক পর্যায়ে ১৯৭০ সালে শাসকগোষ্ঠী Legal frame work order (এল এফ ও) জারি করে নির্বাচন দিল। কিন্তু Legal frame work order (এল এফ ও) ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের স্বার্থ-সিদ্ধির এক দলিল। সেই Legal frame work order (এল এফ ও) প্রত্যাখান করে মওলানা ভাসানী ও তার দল ন্যাপ নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিল কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং বিজয় লাভ করে ক্ষমতা গ্রহণ করার জন্য দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন এই পর্ব পাকিস্তানে অর্থাৎ বাংলাদেশে উত্তাল পরিবেশ বিরাজমান ছিল। এক পর্যায়ে শাসক গোষ্ঠী শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে চলে গেল এবং ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ এ পাক-হানাদার বাহিনীরা চালাল এক পৈশাচিক অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ। তখন অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা না দিয়ে কেউ পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেল কেউ বা আত্ম-গোপন করে থাকল। পূর্ব পাকিস্তানে অর্থাৎ বাংলাদেশে জাতির আকাশে তখন আধরে ঢাকা কূচক্রী কালো মেঘ। এমনি সময় চট্টগ্রামে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট থেকে এগিয়ে এলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং দিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা। এবং নিজে সশস্ত্র যুদ্ধ করে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন করলেন। দেশী-বিদেশী তৎকালীন গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শাসকদের বিবৃতিতে এই ছিল স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস। কিন্তু আমাদের দেশের আজকের প্রজন্ম এ ইতিহাস কতোটুকু জানতে পারতেছে ? তারা আজ বিভিন্ন মাধ্যমে কি দেখছে-কি শিখছে-কি পাচ্ছে ? এ প্রজন্মরা মুক্তিযুদ্ধে কার ভূমিকা কতোটুকু তা কতোটুকু জানতে পারতেছে ? আজকে তো এক শ্রেনীর রাজনৈতিক নেতারা তাদের দলদাস হয়ে জিয়াউর রহমানের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে চাচ্ছে। স্বাধীনতার এতো বছর পর এই কি ছিল প্রজন্মদের পাওনা।
আজ এই প্রজন্মদের পিছু নিয়েছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র। তার কারণ এই দেশকে আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিকভাবে দাবিয়ে রাখতে বা ক্রিয়ানকে পরিণত করতে হলে প্রথমে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিতে হবে। তাই আমাদের প্রজন্মকে নষ্ট করতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা আবাধে দেশে ঢুকাচ্ছে মদ-গাজা-হিরোইন-ইয়াবসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য এবং যুব-ছাত্র সমাজের মধ্যে সেগুলোর বিস্তার লাভ করাচ্ছে। এছাড়াও প্রজন্মকে ধ্বংস করতে আরো দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা এগুচ্ছে। আওয়ামী জোট ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে অবাধে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস। বিগত কয়েক বছর ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে দিতে প্রায় এক জেনারেশন মেধাহীন হয়ে পরেছে। এ জেনারেশনের এ অবস্থার জন্য প্রধান কারণ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া। আর এর জন্য দায়ী বর্তমান শিক্ষামন্ত্রনালয় তথা বর্তমান সরকার। অথচ বিগত বিএনপি সরকারের সময় শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল দেশ স্বাধীনের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত শিক্ষা ইতিহাসে সবচেয়ে ভাল।
বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটের দিকে তাকালে দেখা যায় এ থেকে প্রজন্ম কি দেখছে-কি শিখছে-কি পাচ্ছে ? কেননা রাজনীতিতে দেখা যায়-এক দলের নেত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার কারনে ক্ষমতার প্রভাবে ১৬ হাজার (প্রায়) কোটি টাকার বিভিন্ন দুর্নীতি, চাদাবাজির মামলা এমন কি হত্যা মামলাও বিচারাধীন অবস্থায় সবগুলো মামলা তুলে নিয়েছেন। শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী দলের প্রধান নয় এ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সব মামলা বিনা বিচারে তুলে নিয়েছেন। অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র চেয়াপার্সন এর মামলা তুলে নেওয়া তো দুরের কথা আরো মিথ্যা, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে ভূয়া-জালনথির কারসাজিতে প্রহসনের বিচার বন্দী করে রেখেছেন। এতে উচ্চ আদালত কর্তৃক জামিন পেলেও অন্যান্য মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বন্দী করে রেখেছেন। আর এ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের নামে-বেনামে নতুন করে সাজানো, মিথ্যা প্রায় ৭৮ হাজার মামলা দিয়ে জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছেন। এতে জনগণের কাছে দিবালোকের মতো পরিস্কার বিএনপি তথা বিরোধী দলের রাজনীতির উপর পুলিশ-প্রশাসন লেলিয়ে দিয়ে কি করতেছে ক্ষমতাসীন ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন দ্বারা হেনস্তা হওয়ার ভয়ে জনগণ কিছু বলতে পারেন না। কেননা বলতে গেলেই গ্রেফতার, রিমান্ড, জেল-জুলুম. অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ, গুম, খুনের শিকার হতে হয় আর এ সবের বিরুদ্ধে থানায় গেলে মামলা নেয় না, আদালতে গেলে বিচার হয় না, প্রতিবাদ করলে আত্ম-সম্মানে বাঁচা যায় না। এই হয়েছে অবস্থা। এর জলন্ত প্রমাণ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আর মানুষের অধিকার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে গিয়েই তিনি আজ বন্দী। কিন্তু এতে জনগণ তাকে আজ “মাদার অব ডেমোক্রেসি” অর্থাৎ “গণতন্ত্রের মা”বলে ডাকছেন। জনগণের কাছে তিনি আজ দেশ মা। ক্ষমতাসীনদের জিঘাংসা-প্রতিহিংসার লোলুপ এ রাজনীতি থেকে জনগণ তথা নতুন প্রজন্মরা কি-ই-বা শিখছে। আর এ রাজনৈতিক অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ক্ষমতাসীনরা।
বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধান ২০১৪ সালে ০৫ জানুয়ারী তার অধীনেই ভোটারবিহীন, প্রার্থীবিহীন জবর-দখলের নির্বাচনের সময় বলেছিলেন এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। অল্প কিছু দিনের মধ্যে সবাইকে নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে আবার উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন করা হবে। কিন্তু পাতানো-সাজানো-হস্তক্ষেপের সে নির্বাচনে ক্ষমতায় বসে তিনি ওয়াদা জলাঞ্জলি দিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের ভর দিয়ে ক্ষমতায় আছেন। কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই-যা তাাকে ওয়াদা বরখেলাপকারী করেছেন। একজন শীর্ষ রাজনীতিবিদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্মরা কি শিখছে-কথা দিয়ে কথা না রাখা।
নতুন প্রজন্মরা নতুন ভোটার। ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্রোরেশনসহ সংসদের উপনির্বাচন সকল ভোট হয়েছে বা হচ্ছে। এতে প্রজন্মরা কি দেখছে-কি শিখছে ? প্রজন্মরা ভোট দিতে কেন্দ্রে গেলে কেন্দ্র দখলকারী ক্ষমতাসীন ক্যাডার-চামচাদের সাথে এক শ্রেনীর প্রশাসনের লোকজন দাপট দেখিয়ে বলে ভোট দেওয়া হয়ে গেছে-বাড়ী যান। ফলে ভোটাররা ও প্রজন্মরা ভোট দিতে পারেন না। াাজকাল আওয়ামী সরকারের অধীনে সকল নির্বাচনেই এটা দেখা যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ হয়েছে যে, পুলিশ-প্রশাসনে দল-দাস নিয়োগের ফলে পুলিশ-প্রশাসনও এখন আওয়ামীদের সাথে একাকার হয়ে ভোট চুরির কাজে সহায়তা করে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করছে। সম্প্রতি গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচনের দিকে তাকালেই তা দেখা যায়। প্রশাসন কি নগ্ন হয়ে ক্ষমতাসীনদের সহায়তা করেছেন বিজয়ী হতে। কখনো সাদা পোশাকধারী, কখনো ফরমাল পোশাকধারী, কখনো অফিসিয়াল পোশাকধারী প্রশাসনের লোকজন ছলে-বলে-কৌশলে না হলে ভয়-ভীতিতে-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে বিরোধী দলের এজেন্টদের তুলে নিয়ে গিয়ে ভোট শেষে দুরে কোথাও রেখে আসেন। এই হচ্ছে ভোটের রাজনীতিতে প্রশাসনের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে ভোট ডাকাতির কাজে প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ নগ্ন হস্তক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ। ভোট ডাকাতি ও চুরি করতে গিয়ে এতো বেশী ডাকাতি আর চুরি হয় যে, মৃত ব্যক্তিরও ভোট দেওয়া হয়ে যায়, এক ব্যক্তির হাজারটা ভোট দেওয়া হয়- এ কাজ করেন ক্ষমতাসীনদের দলীয় ক্যাডার, এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, রিটানিং কর্মকর্তা, বর্তমানে যোগ হয়েছে এদের সাথে কিছু প্রশাসনও। এরা একযোগ বিরোধী দলের ভোটার, এজেন্ট-সমর্থকদের বের করে দিয়ে ভোট ডাকাতি করে। ফলে এতই ভোট ডাকাতি হয় যে, সকাল এগারোটার মধ্যে ব্যালট শেষ হয়ে যায়-আবার ব্যালট আনতে হয়। ভোট গণনা শেষে দেখা যায় ৯৮/৯৯/ ১০০% বা ক্ষেত্রবিশেষে এর বেশীও ভোট পরে-যা পরে ধামাচাপা দেওয়া হয়। দেখা যায় মৃত ব্যক্তিও কোন অশরীরে এসে জাদু দিয়ে যেন তার ভোট দিয়ে যান। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে হয় ঠাই জেলে নয়তো গুম, খুন বা অপহরণে। কাজেই প্রজন্মদের ভোট দেওয়া তো দুরের কথা এমন পরিবেশ থেকে তারা কি-ই বা আদর্শ অর্জন করেতেছে যা পরবতীতে তারা এ সমাজের কাজে লাগাবে। এ প্রজন্ম আওয়ামী আমলে ভোটের ক্ষেত্রে ভয়ারহ এ রূপ দেখে যাচ্ছে। প্রজন্ম নিজেরাই বুঝতে পারছে না তারা কি দেখছে-কি শিখছে ? ফলে তরুণ এ প্রজন্মদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক এ অবস্থার জন্য নিজেরা বিকারগ্রস্ত, নেশাগ্রস্ত হয়ে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়ে যাচ্ছে। তার উদাহরণ ‘ঐশী’ নামের মেয়েটি। বর্তমান শাসকের অনিরাপদ, অবিচার, শাসন-শোসন, জবর-দখল, জুলুম. গণতন্ত্র বিসর্জন দিয়ে একক কর্তত্ববাত শাসন স্থাপন করে ক্ষমতা থাকার বাসনাই প্রধান ও অন্যতম কারণ-যা পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে সৃজনশীলতায় ফিরে আসাই উত্তম। তা না হলে এ প্রজন্মরা এহেন রাজনীতি থেকে কি পাবে ?
বর্তমান চাকুরি নিয়োগ ব্যবস্থায় কোটার ভিত্তিইে বেশী নিয়োগ হচ্ছে-মেধার ভিত্তিতে কম নিয়োগ হচ্ছে। একজন খুবই মেধাবী ছাত্র ভাল চাকুরি পাচ্ছে না কোটার জন্য আর একজন অনুন্নত মানের ছাত্র-ছাত্রী কোটা থেকে বেশী যোগ্যতার চাকুরি পাচ্ছে—–এ যেন মেধার ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য। এ বৈষম্য সংস্কারে চাত্র-ছাত্রীরা যখন তাদের দাবী তুলে ধরছেন তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মহান সংসদে দাড়িয়ে বললেন, “কোন কোটা থাকবে না”। দাবি-দাওয়ার ছাত্র-ছাত্রীরা থেমে গেলেন। কিন্তু কয়েক মাস আতিবাহিত হতে থাকলেও কোন গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা যখন আবার সংস্কার দাবী তুলে ধরছেন। তখন তাদের উপর ছাত্রলীগরা কিভাবে ক্যাম্পাসে রড, লাঠি, হাতুরি, অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পরে আঘাত করেছে-যা গণমাধ্যমের সহায়তার দেশবাসী দেখছেন। সংস্কারবাদী ছাত্ররা আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে কার নির্দেশে মেডিকেল বা চিকিৎসালয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, তাদের আজ গুম বা অপহরণের ভয়ে আত্ম-গোপন করে থাকতে হচ্ছে ? এর জবাব কোথায় পাওয়া যাবে ? শহীদ মিনারে ঐ ছাত্রীটি কিভাবে সিএনজিতে ছাত্রলীগ কর্তৃক লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত, নির্যাতিত হলো, সে আশা করছিল থানায় গলে নিরাপদ পাবে কিন্তু থানায় গিয়ে দেখলো সে থানা তার দ্বিথীয় জাহান্নাম। এরই বা জবাব কি ? এর উত্তরই বা কোথায় পাওয়া যাবে ?
……. এমনি পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার এতো বছর পর প্রজন্মরা ভাবছে আজ তারা অর্থাৎ প্রজন্ম কি দেখছে-কি শিখছে-কি পাচ্ছে ? দেশের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যা দেখার নয় তাই দেখছে, যা শেখার নয় হয়তো অগোচরে তাও হয়ে যাচ্ছে। প্রজন্ম চায় নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ, মৌলিক অধিকারসমূহ, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, সঠিকভাবে মেধা অর্জন ও মূল্যায়ন, নিজেদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি গৌরবের সাথে বহিঃবিশ্বে তুলে ধরা, সমাজের কল্যাণ সাধন করা, দেশকে বৈশ্বায়িকভাবে টেকশই উন্নয়নে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখা। আর এসবের জন্য সর্বজনীনভাবে বা সার্বজনীনভাবে প্রয়োজন গণতন্ত্রায়ন। গণতন্ত্রের লেবাস পরে প্রশাসনে ভর করে অন্যায়-অবিচার করে লগি-বৈঠা-হাতুড়ি হাতে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাজিয়ে গুম-খুন-অপহরণের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জেল-জুলুম-রিমান্ডে নিয়ে অন্য দেশের দাস হয়ে একক কর্তত্ববাদ স্থাপন করে প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা কয়েম করা নয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।