খোলা বাজার ২৪,মঙ্গলবার ৩০ অক্টোবর ২০১৮ঃ মোঃ রাসেল মিয়াঃ নরসিংদীপ্রতিনিধিঃ নরসিংদীর পলাশে গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরাগ্রামে দাদীর ঘর থেকে নিজের ঘরে যাওয়ার পথে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে মুখে চাপ দিয়ে প্রতিবেশী (৩৫) বছরের এক যুবক বাড়ির পাশে একটি নির্জন ঝুঁপে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোসের চেষ্টা করে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা করেছে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা। সোমবার রাত ৯টার দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশ থানায় মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে জয়পুরা প্রাইমারি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুল ছাত্রী তার দাদীর ঘর থেকে নিজের ঘরে যাওয়ার পথে একই গ্রামের (প্রতিবেশী) মনা মিয়ার ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক মেয়েটির মুখে চাপ দিয়ে বাড়ির পাশে একটি ঝুঁপে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে বাড়ির পাশে ওই নির্যন ঝুঁপে ফেলে চলে যায়। পরে মেয়েটির পরিবার তাকে অনেক খোঁজা-খুঁজি করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির পাশে ওই নির্জন ঝুঁপ থেকে তাকে উদ্ধার করে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানান, মেয়েকে উদ্ধার করার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও জয়নালের চাচতো ভাই বারেক মিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে বারেক মিয়া থানায় মামলা না করতে বাধা প্রদান করে।
তিনি আরো বলেন, থানায় মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে, নয়তো এলাকা ছাড়া করবে। আর গজারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছে যেনো থানায় মামলা না করি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের মোঠফোনে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা দিয়ে আপোস করার বিষয়ে অস্বীকার করলেও ধর্ষণের বিষয়ে আপোস করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার কাছে দুই পক্ষ এসে আপোস হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। পরে আমি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ই বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করি।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তাফা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।