Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,শুক্রবার,০৯ নভেম্বর ২০১৮ঃ নির্বাচনের সমান মাঠ তৈরি না হওয়ায় ঘোষিত তফসিল গ্রহনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের কথা খুব পরিস্কার নির্বাচনের সমান মাঠ তৈরি করতে হবে, সকল দলকে সমান অধিকার দিতে হবে, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাকে কাজ করতে দিতে হবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচন তফসিল গ্রহনযোগ্য হবে না।

জনসভার প্রধান অতিথি ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন অসুস্থতার জন্য রাজশাহী যেতে না পারলেও মোবাইলে জনসভার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের ‘তড়িঘড়ি’ করে তফসিল ঘোষণার নিন্দা জানান।তিনি বলেন, তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এটা জনগনকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এটা সংবিধান পরিপন্থি, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগ , নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি ও এবং ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে এ জনসভার আয়োজন রাজশাহী মহানগর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মাঠে দুই পাশের দেওয়ালে টানানো হয়েছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ছবি সম্বলিত ব্যানার। দুপুর ১ টার দিকেই সমাবেশ স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জিরো পয়েন্ট, আলু পট্টি মোড়, রানী বাজার মোড়, জাদুঘর মোড়, সোনাদীঘি মোড় ও সাহেব বাজারসহ পুরো শহরে জনতার ঢল নামে।জনসভা উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, বক্তব্য দীর্ঘ নয়, সময় খুব সংকীর্ণ, সংকট আরও ভয়াবহ। আজকে প্রশ্ন বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। প্রশ্ন বাংলাদেশ স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি পারবে না। আমাদের কথা বলার অধিকার আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে কি থাকবে না, সংগঠন করার অধিকার থাকবে কি থাকবে না, মৌলিখ প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।  তিনি বলেন, আমরা ঐক্য করেছি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে মিটিংয়ে বলেছিলেন, আমি হিংসা চাই না, শান্তি চাই না। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করবেন। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সংলাপে দাবি দিয়ে এসেছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা জানি আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্যেই আপনার এই ত্যাগ। মামলা হামলায় আপনারা জর্জড়িত। এখানে একজনও নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তাহলেই নির্বাচনে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, নইলে নির্বাচনে যাব না।

দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাকে নির্বাচনের মাঠে কাজ করতে দিতে হবে। অন্যথায় কোনো তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না হবে না।এই রাজশাহী থেকে অনেকে রক্ত দিয়ে বিদায় নিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আমরা জানি রাস্তায় আপনাদের বাধা দিয়েছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য গণতন্ত্রের জন্য এখানে এসেছেন।সবশেষে জানতে চাই আপনারা কি দেশনেত্রীর মুক্তি চান? তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চান, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চান, তাহলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।