খোলা বাজার ২৪,সোমবার,১৯ নভেম্বর ২০১৮ঃ আব্দুল আউয়াল, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বানারীপাড়া উপজেলার খেয়াঘাটের এক ইজারাদার স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েও নানা কারনে হয়রানী হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। জানাগেছে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদ র্কতৃক নির্ধারিত ১৪২৫ বঙ্গাব্দ’র ১লা বৈশাখ খেকে ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত পশ্চিম মলুহার তালুকদার হুলা খেয়াঘাটের ইজারা নেয় স্থানীয় আবুল কালাম।
ইজারা নেয়ার প্রথম থেকেই তাদের কাছে স্থানীয় মসজিদ কমিটি ইজাদারা থেকে তাদের আদায় কৃত অর্ধেক অর্থ দাবী করে আসছে। পরে ইজারাদার মসজিদে অর্ধেক অর্থ নয় তাদের সাধ্যমতো সহযোগীতা করবে জানালে,এনিয়ে ইজারাদার ও মসজিদ কমিটির মধ্যে ঝামেলা হয়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস ও ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মিলে মসজিদে আদার কৃত অর্থের অর্ধেক দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন বলে জানান,ইজাদার কালাম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আ. হালিম। জানাগেছে খেয়াঘাট ইজারা নেয়ার পর থেকে তারা নিজেরা কয়েকটি ট্রলারযোগে যাত্রী পারাপার করতো।
সম্প্রতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ,নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ বরিশাল নদী বন্দর থেকে পশ্চিম মলুহার তালুকদার হুলা খেয়াঘাট থেকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজার হয়ে টেম্পু স্ট্যান্ড পর্যন্ত এমএল টাইপের লঞ্চের অনুমোদন করান কয়েকটি লঞ্চের মালিক। যারফলে পূর্ব থেকে ওই ঘাটে যাত্রী পারাপার করা প্রায় ১০/১২টি ট্রলারের মাঝিরা কর্ম হারিয়ে বসে। এদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের পাওয়া অনুমোদনে দেখাগেছে মোট ৩টি ঘাটে যাত্রী ওঠানামা সহ ৪৫ মিনিটি সময় ধরা হয়েছে। তবে সরেজমিনে দেখাযায় পশ্চিম মলুহার খেয়াঘাট থেকে বৈঠাকাটা বাজারের ঘাটে যেতে সময় লাগে মাত্র ৪/৫ মিনিটি। আর যদি টেম্পু স্ট্যান্ডে যায় তবে আরও ৫ মিনিট বেশি সময় লাগে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে খেয়াঘাটে থাকার সময় যাত্রীরা জানান অনুমোদিত টেম্পু স্ট্যান্ডের ঘাটে একটি লঞ্চও যায় না। বিধায় তাদের প্রায় ১০ মিনিট সময় পায়ে হেটে বাজারের ঘাট থেকে চলাচল করতে হচ্ছে। অপরদিকে লঞ্চ স্টাফ বলছে তারা যায়। তবে সরজেমিনে কয়েকজন সংবাদকর্মীরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে ওই লঞ্চ গুলো টেম্পু স্ট্যান্ড ঘাটে যায় না। ফলে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রসঙ্গত লঞ্চে ৩ ও খেয়াঘাট ইজারাদার ২ টাকা নেয় যাত্রীদের কাছ থেকে। লঞ্চ চালু হবার পরে মসজিদ কমিটিকে তারা প্রতিদিন ২শত টাকা দিচ্ছেন।
এর পরেও ইজারাদারের ২টাকা থেকে মসজিদ কমিটি ১টাকা দাবী করছে। অভিযোগ রয়েছে তাদের দাবীকৃত অর্থ না দিলে তারা খেয়াঘাট বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেয়। পরে ইজারাদার ঘাট বন্ধ করে দেয়ার হুমকীর ব্যপারে লবনসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডাইরী করেন বলে জানান। খেয়াঘাট থেকে ইজারাদারের জনপ্রতি ২টাকা আদায়কে মসজিদ কমিটির সভাপতি আ. হালিম জোর করে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে জানান।
এ বিষয়ে ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ওই খেয়াঘাটে ইজারা দেয়া হয়েছে। কোন প্রকার চাঁদা তোলা হচ্ছেনা। মাত্র ৫ মিনিটের জন্য এমএল টাইপের লঞ্চের অনুমোদন দেওয়া এবং একটি ঘাটে না যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ,নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ বরিশাল নদী বন্দর’র পরিদর্শক’র কাছে জানতে চাইলে তিনি তার নাম বলতে অপরগতা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে বলেন।