শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ-১ থেকে সবকটি নির্বাচনে জয়ী হওয়া সৈয়দ আশরাফের আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ডা. সৈয়দ জাকির নূরকে।
কে এই জাকিয়া নূর? যার প্রতি দলীয় হাইকমান্ডের এত ভরসা! সৈয়দ আশরাফের শুদ্ধ রাজনীতি তিনি ধরে রাখতে পারবেন তো? নিজ আসনের পাশাপাশি আশরাফের কোটিভক্তের মন জুগাতে পারবেন তো তিনি
জবাবে আগাম বলে দেয়া যায় পারবেন। কারণ তিনি যে সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান। সৈয়দ আশরাফের দেহে যে রক্ত বহমান, ঠিক একই রক্ত জাকিয়া নূরের দেহেও। সৈয়দ আশরাফের ৪ ভাই ও দুইবোনের একজন।
ডা. সৈয়দ জাকিয়া নূর। ডাকনাম লিপি। তিনি লন্ডনে দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনের ইতি টেনে বাংলাদেশে এসেছেন। সৈয়দ আশরাফের স্থলাভিষিক্ত হতে দলের হাইকামান্ডের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। দলের প্রধান শেখ হাসিনাও সৈয়দ আশরাফের অবর্তমানে তাকে বাছাই করেছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হন সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। কিন্তু গত ৩ জানুয়ারি নিরঙ্কুশ জয়লাভ করা আওয়ামী লীগ যখন শপথ নেয় তখন সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যান তিনি।
এরপর সৈয়দ আশরাফের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আর গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ডা. জাকিয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। পরে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা গণভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কিশোরগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনের প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের একই সভায় তিনটি পৌরসভা এবং ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নামের তালিকা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়নি।