খােলাবাজার ২৪,সোমবার,১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ আরো ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ পর্যন্ত ১৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করা হয়।
দীপু মনি জানান, এমপিও প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আবেদন আমরা পেয়েছি। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে যারা ‘নির্ণায়ক মান’ পূরণে সমর্থ হয়েছে এমন ২ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাকে যোগ্য বলে বেছে নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে এক বছরে না হলেও পর্যায়েক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি একেবারেই কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। তাদের বরাদ্দের প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে আমরা বাছাইকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করবো।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে সারা দেশে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
লিয়াকত হোসেন খোকার এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৩টি। বর্তমান সরকার বিগত মেয়াদে (২০০৯-২০১৮) দেশে ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তানভীর ইমামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের যে সব উপজেলায় কোনো সরকারি স্কুল এবং কলেজ নেই সে সব উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি/ সম্মতি/ নির্দেশনার আলোকে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি করে কলেজ সরকারিকরণের আওতায় ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩২১টি স্কুল এবং ২৯৬টি কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, দেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা দেয়ার লক্ষ্যে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৬৪ জেলায় নির্ধারিত ২৫০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ৯ হাজার নারী ও ৯ হাজার পুরুষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেয়া হবে। প্রকল্পটি ৪টি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে।