১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার মামলাটি বিচারক বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৪ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।’
২০ জানুয়ারি কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) সোমবার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। এরপর মঙ্গলবার আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১৪ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনও ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়।’
‘বেগম খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে’- এমন অভিযোগ করে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।