খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার, ০৭মে ২০১৯ঃ অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয় রুহ্ আফজা । শরবত রুহ্ আফজা হামদর্দ গবেষণাগারে উদ্ভাবিত বিস্ময়কর ফর্মূলেশন যা মূল্যবান ্ওষুধি উদ্ভিদ, সুস্বাদু টাটকা ফলের রসও তাজা ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরী। হামদর্দের প্রতিষ্ঠতা হাকীম আব্দুল মজিদ ১৯০৭ সালে তাঁর সুদূর প্রসারী চিন্তা ও মেধা কাজে লাগিয়ে এই অনন্য ফর্মূলেশনটি উদ্ভাবন করেন। পূর্বে যে সকল শরবতের প্রচলন ছিল সেগুলো হয় কোন ফল থেকে অথবা কোন সুগন্ধি গোলপ বা কেওড়া থেকে নতুবা শুধুমাত্র ওষুধি উদ্ভিদের নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা হতো। কিন্তু হামদর্দই প্রথম আকর্ষণীয় উপায়ে এই তিনটি উপাদানের সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম হয়।
এজন্যই রুহ্ আফজা অতুলনীয়। ১৯০৮ সালে রুহ্ আফজা হামদর্দের ওষুধের তালিকায় নিবন্ধিত হয়। রুহ্ আফজা জনপ্রিয়তার এতটাই শীর্ষে যে ১০০ বছার ধরে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, , মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপসহ, সমগ্র পৃথিবীতে মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সুস্বাদু হালাল পানীয়রুপে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এর ব্যতিক্রমধর্মী স্বাদ, ঘ্রাণ এবং রং শুধু সাধারণ মানুষেরই প্রিয় নয় বরং কবি, লেখক, বিজ্ঞানী সকলেরই চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির সহায়ক হিসেবে কার্যকরী।
হামদর্দ সগৌরবে শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। সে সঙ্গে হামদর্দের প্রথম প্রচেষ্টার ফসল রুহ্ আফজাও বিতর্কহীনভাবে শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। হামদর্দ সগৌরবে শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। সে সঙ্গে হামদর্দের প্রথম প্রচেষ্টার ফসল রুহ্ আফজা বিতর্কহীনভাবে শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। শরবত রুহ্ আফজা অনন্য স্বাদ, লোভনীয় সুঘ্রাণ, চমৎকার রং ওষুধি গুণাবলির জন্য বিশ্বের জ্ঞানী-গুনী, বিজ্ঞানী, মনীষি ও জুড়িবোর্ডের বিচারে বিশ্বের নামকরা ১০০টি শীর্ষ খাদ্য, রেষ্টুরেন্ট, পানীয়, মাসুষ, ষ্তান ও অন্যান্য বিষয়াদির মধ্যে ১০ম স্থান ও পানীয় হিসেবে ১ম স্থান অধিকার করেছে। রুহ্ আফজা ঐবধাবহষু ঊষরীরৎ বা স্বগীয় অমৃত সুধা এবং ইবংঃ গড়হরশবৎ বা সর্বশ্রেষ্ট নাম হিসেবে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি অর্জন করেছে, যা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ৩০৪, দক্ষিণ পার্ক এভিনিউ হতে প্রকাশিত সুবিখ্যাত ম্যাগাজিন ঝঅঠঊজ, এর ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ বিশেষ সংখ্যায় প্রকশিত হয়েছে।
রুহ্ আফজায় ব্যবহৃহ গুরুত্বর্পর্ণ উপাদানসমূহ ঃ
ইনভার্ট সুগার :
রুহ্ আফজার গুরুত্বপূর্ণ উপদানসমূহের মধ্যে ইনভার্ট সুগার অন্যতম। ইনভার্ট সুগার হলো ইক্ষুরসের চিনি, যা আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়ে সমপরিমাণে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোসের মিশ্যণে পরিণত হয়। ইনভার্ট সুগার দেহে খুব সহজেই শোধিত হয়ে শরীরেরর সকল কোষ কলায় পৌছে দ্রুত শক্তি উৎপাদন করে।
ইলেকট্রোলইটস, সোডিয়াম (ঘধ), পটাশিয়াম (শ) ইত্যাদি
সারা দিনের কর্মক্লান্তি, রোজা রাখা, পরিশ্রম সাদ্য ব্যায়াম, প্রখর রৌদ্রতাপ ইত্যাদিতে মানুষের দেহে পানি ও ইলেকট্রোলাইটস এর ঘাটতি দেখা দেয়। রুহ্ আফজায় বিদ্যামান তরল পদার্থ ও ইলেটট্রোলাইটস সমূহ তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘাটতি পূরণ করার মাধ্যমে শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য রক্ষা করে।
ভিটামিন, বায়োফ্ল্যাভোনয়ডেস ও অত্যাবশ্যকীয় তেল
রুহ্ আফজায় বিটামিন এ, বি, সি, ডি, প্রভৃতিসহ প্রায় সকল ভিটামিনিই যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যামান রয়েছে যা শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। এসব ভিটামিন ও বায়োফ্ল্যাভোনয়েডস্ জাতীয় এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রুহ্ আফজা দেহে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালসমূহকে ধ্বংস করে দেহকে রোগমুক্তি রাখে। অত্যাবশ্যকীয় তেল সমূহ স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা সুসংহত রাখে। রুহ্ আফজা তৈরী করা হয় ফুলম টাটকা ফলের রস এবং মূল্যবান ওষুধি উদ্ভিদের নির্যাস থেকে যা শুধু দেহের তরল পদার্থের ঘাটতি পূরণ করে না, আরো যোগাবে অনাবিল শক্তি, প্রফুল্লতা ও সচেতজতা। রুহ্ আফজায় ব্যবহৃত মূল্যবান ওষুধি উদ্ভিদসমূহে বিদ্যামান ভিটামিন, খনিজ উপাদানও গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানসমূহ শরীরের ভিটামিন ও ইলেকট্রলইটের ঘাটতি পূরণ করবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন-মস্তিষ্ক, হৃৎপিন্ড, কিডনি, লিভার, ইত্যাদির কোষ ও কলায় মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের ভারসাম্য আনয়ন করার মাধ্যমে এসব অঙ্গসমূহের কার্যক্রম সুসংহত করে । রুহ্ আফজাপ গরমে হঠাৎ মূর্ছা যাওয়া (ঐবধঃ ঝঃড়শব), কায়িম পরিশ্রান্তি ও অবসাদগ্রস্থতা দূর করে। রুহ্ আফজা ডায়রিয়ার পানির স্বল্পতা পূরণে অত্যান্ত কার্যকরী। রুহ্ আফজা রক্তে হোমোগ্লোবিন ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে । রুহ্ আফজা একটি মহৌষধ কারণ এটি শরীর ও মনকে সতেজ করা ছাড়াও মাথা ব্যাথা, মাথা ঝিমঝিম এবং মেয়েদের শ্বেতপ্রদরসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত উপসম করে। রুহ্ আফজার একটি মহৌষধ কারণে এটি শরীর ও মনকে সতেজ করা ছাড়াও মাথা ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম এবং মেয়েদের শ্বেতপ্রদারসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত উপসম করে । রুহ্ আফজার গুরুত্বপূর্ণ এনাবলিক ও এন্ড্রোজিনিক কর্মকান্ড দেহের কম বৃদ্ধি প্রতিক্রিয়া উপর উদ্দীপনার প্রভাব ফেলে। রুহ্ আফজা অপারেশনে বহুল ব্যবহৃত প্রয়োগ পরবর্তী অপারেশনে বহুল ব্যবহৃত প্রয়োগ পরবর্তী ব্যথা নিরাসনে কার্যকরী।
কার্বনেটেড পানীয়ের চেয়ে রুহ্ আফজা নিরাপদ ও উপকারী:
বাজারে কার্বনেটেড জাতীয় অনেক পানীয় প্রচলিত রয়েছে, এদের কোনটিই রুহ্ আফজার মত নয়। এর কারণ কার্বনেটেড জাতীয় পানীয় পানীয়তে থাকে ক্যাফেইন নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যা দীর্ঘদিন সেবন হৃদরোগ, আসক্তি সৃষ্টি এবং প্রসবকালীন ত্রুটিসহ নানারকম সমস্য সৃষ্টি করে । কিন্তু রুহ্ আফজা হচ্ছে এমন এক উপশম শরবত যাতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক বিশেষ উপাদাসমূহ উল্লেখিত কার্যকারিতা ছাড়াও রক্তের বর্জ্যপদার্থ অপসারণ করে, শরীরের উপাদাগত ক্ষয় পূরণ করে এবং শরীরকে রোগমুক্তি রাখতে সাহায্য করে। বাজারে প্রচালিত অন্যান্য পানীয় বা এনার্জি ড্রিঙ্ক এর মত রুহ্ আফজা শরবত কোন পাশ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। বরং রুহ্ আফজা ব্যবহারে শিশুদের ক্যাফেইন আসক্তি দূর হয়।