খােলাবাজার ২৪, বৃহস্পতিবার,৩০ মে ২০১৯ঃ এবারের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয় এসেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণের আগে, কারা মন্ত্রী হবেন, আরা কারা মন্ত্রী হবেন না, তা নিয় জল্পনা-কল্পনা চলছে।
সদ্য বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্য থেকে নতুন মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যারা তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রভাশালী মন্ত্রী রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, পিযুষ গোয়েল, নির্মলা সীতারামন, সুরেশ প্রভু, স্মৃতি ইরানি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, ভিকে সিং, রাম বিলাস পাশোয়ান।গান্ধী পরিবারে ঘাঁটি আমেথিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারানো বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানিকে বড় দায়িত্বে আনা হতে পারে বলে খবর রয়েছে। তবে মন্ত্রিসভায় না থাকার সম্ভাবনা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী অরুণ জেটলির। চিকিৎসার প্রয়োজন বলে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে মন্ত্রিসভায় না থাকার ইচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিদায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন অরুণ জেটলি, সরকারের প্রধান নীতি নির্ধারকদের একজন ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাকে জানাচ্ছি, নিজেকে সময় দিতে হবে আমায়, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের কারণে। এখন নতুন সরকারের কোনও দায়িত্ব পালন আমি করতে পারব না’। প্রসঙ্গত গত বছরের মে মাসে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় জেটলির।
বুধবার সন্ধ্যায় জেটলির বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করতে অনুরোধ জানান তাকে। কিন্তু তাতেও সম্ভবত ফিরবেন না এই বর্ষীয়ান নেতা।
বিজেপি জোটের শরিকদের মধ্যে অরবিন্দ সাওয়ান্ত ও রামবিলাশ পাশোয়ানের নাম রয়েছে এবারের মন্ত্রিসভায়। শিবসেনার সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, প্রত্যেক শরিকদের থেকে একজন করে মন্ত্রী হবেন বলে ঠিক হয়েছে।
পার্লামেন্টে যা আসন সংখ্যা তাতে নিজেরাই সরকার গড়তে পারবে বিজেপি। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলো মাথায় রেখে শরিকদের গুরুত্ব দিতে পারে বিজেপি। বুধবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে দুটি ক্যাবিনেট মন্ত্রণালয় চেয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫২ আসন পেয়েছে এনডিএ জোট। তারমধ্যে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ৩০৩ আসন। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রায় ৮,০০০ অতিথি থাকবেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তার মা সনিয়া গান্ধী।