Sun. Jun 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, শনিবার ,২০জুলাই,২০১৯ঃ লালমনিরাহাট প্রতিনিধিঃ লমনিরাহাটে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বানভাসি মানুষের ভোগন্তি কমেনি। জেলার প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পানি এখন বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যায় কারনে সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছেন অনেক উপজেলা ও ইউনিয়নের। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, শনিবার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি কমে বিপদ সীমার ৪০ এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমে গেলেও পানিবন্দি পরিবারগুলোর দুর্ভোগ কমেনি। বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রক বাঁধসহ কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় গ্রামীন জনগোষ্ঠির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা দিয়েই মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করলেও যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ রয়েছে।

এ দিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে সকল দুর্গত মানুষ ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

হাতীবান্ধার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ‘আমার ত্রাণ দেওয়া অব্যাহত রেখেছি। ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারনে কেউ কেউ ত্রাণ না পেলে তাদেরকে ত্রাণের আওতায় আনতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিজ এলাকার তালিকা প্রেরণের অনুরোধ করেছি।’

সরকারী এক হিসাব অনুযায়ী জেলার ৫ উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নে এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮ শত ১৬টি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৪ শত কার্টুন শুকনো খাবার, ২৪৫ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আহসান হাবীব বলেন, ‘গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজানের পানি নেমে আসায় যে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে তাতে এ জেলার ৫ টি উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আশা করি খুব দ্রুত পানি নেমে যাবে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।