বুধ. মে ১, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
‘খােলাবাজার ২৪,রবিবার,০৪ আগস্ট ,২০১৯ঃ ডেঙ্গু বিস্তার রোধে নানামুখী পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাঠে নামেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের তারকারা। সঙ্গে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীসহ বিএফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সম্প্রতি সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তারই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। বিষয়টি অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর নজরেও এসেছে। তিনিও অংশ নিয়েছিলেন ওই দিনের পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধন অভিযানে।

এ বিষয়ে রোকেয়া প্রাচী দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘ওই দিনের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে, তা সবই দেখেছি। এমন মন্তব্য দেখে নিজেও অবাক হয়েছি। কী বলব, বুঝতেছি না। আপনারা জানেন, দেশে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক চলছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এখন দরকার সচেতনতা, সবার সহযোগিতা। আপনারা হয়তো দেখেছেন, দেশের যেকোনো সমস্যার সচেতনাতামূলক প্রচারণায় শিল্পীরা এগিয়ে এসেছিল, আসছে এবং আগামীতে আসবে।’

রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘একটা ঝাড়ু হাতে বা মশা মারার ফগার মেশিন নিয়ে এত লোক; অনেকেই বলছেন, আমরা তামাশা করছি। ভাই, আমরা যদি তামাশাই করতাম তবে নিজের কাজ ফেলে এখানে অংশ নিতাম না। কড়া রোদের মধ্যে দুই ঘণ্টা থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানে অংশ নিতাম না। দুই ঘণ্টার মধ্যে আপনারা দেখেছেন কতটুকু, ২, ৩ বা ৫ মিনিটের একটি ভিডিও। যেটি তৈরি করা হয়েছে কেটে কেটে। আমরা তাহলে দুই ঘণ্টা কী করেছি?’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শিল্পী সব সময়ই সচেতনাতামূলক প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকি। আমাদের দেখে আপনারাও যাতে সচেতন হোন। আমরা কিন্তু আপনার বাসায় গিয়ে মশা বা নোংরা পরিষ্কার করে দিয়ে আসব না। আমরা সবাইকে সচেতন করব। শিল্পীরাও তো মানুষ, এ দেশেরই একজন নাগরিক। মানবিক জায়গা থেকে সবারই কিছু দায়িত্ব আছে।’

রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘আপনারাও তো পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। যে ডেঙ্গুর ভয়াবহ রূপ নিয়ে সবাই চিন্তিত, সেই ডেঙ্গু যদি আপনার পরিবারের কারও হয়, তখন কী করবেন? সরকারকে দোষারোপ করবেন? আমরা প্রতিটি নাগরিক যদি নিজের ঘর ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি, তবে মশা বংশ বিস্তার করতে পারবে? আর এডিস মশা বিস্তার না ঘটলে, আমরাও কিন্তু নিরাপদ। আমরা শিল্পীরা চেয়েছি দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে, মানুষকে হাসাতে না।’

এই শিল্পী আরও বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ আছে, যাদের কাজ সমালোচনা করা। তারা সমালোচনা করবেই, তাদের আটকানো যাবে না। সব দোষ আমাদের শিল্পীদের। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক কি ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামেনি? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি ঝাড়ু দেয়নি, কই তাদের বেলায় তো এমন ট্রল হয়নি। আমাদের বেলায় কেন?’