স্মৃতিশক্তি বাড়ায় : বয়সকালে স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতা দারুণ কার্যকরী। সাধারণত ডিমেনশিয়া চিকিৎসায় এ ভেষজটি ব্যবহার করা হয়। ২০১৮ সালে করা ‘ব্রেন ও বিহেভিয়ার’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখা গেছে, থানকুনি পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
মন ভালো রাখে : থানকুনি পাতা মনের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে মন শান্ত হয়। এটি রাগ নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কার্যকরী। এ পাতা গ্রহণের কিছুক্ষণ পর এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
ক্ষতস্থান সারায় : থানকুনি পাতা প্রাকৃতিক মলম হিসেবে কাজ করে। কেটে যাওয়া স্থানে এটি লাগালে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ হয়। এটি ব্যবহারে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায় : আয়ুবেদ চিকিৎসায় উচ্চ রক্তচাপ কমাতে থানকুনি পাতা ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এ পাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও বেশ কার্যকরী।
ঘা সারায় : মুখে বা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে ঘা হলে থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন। এটি এ ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
সর্দি-কাশি কমে : থানকুনি পাতার রস খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা উপশম হয়৷
আমাশয় সারায় : অনেকেরই আমাশয়ের সমস্যা আছে। এ সমস্যা নিরাময়ে থানকুনি পাতার জুড়ি নেই।
এছাড়া থানকুনি পাতার সঙ্গে কাঁচকলা, পেঁপে দিয়ে পাতলা ঝোল প্রতিদিন খেলে পেট পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে লিভার বা যকৃতের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।