
১. শীতের এ সময় মিষ্টি খাবার যেমন- কেক, সিরিয়াল, বাজারজাত জুস, কোমল পানীয়, উচ্চমাত্রার চিনি দিয়ে তৈরি খাবার বেশি খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যদিও এ ধরনের খাবার খেতে সুস্বাদু হয়, কিন্তু এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব খাবার খেলে প্রদাহ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
২. ইটালিয়ান পাস্তা যদিও খেতে সুস্বাদু কিন্তু শীতের সময় এ খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ম্যাকারনি, পাস্তার মতো খাবারগুলো অতিরিক্ত কফ তৈরি করে। যার ফলে বুকে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
৩. শীতের সময় সব ধরনের ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবারে উচ্চ মাত্রার ফ্যাট থাকে। ফ্যাটযুক্ত এসব খাবার শুধু প্রদাহই বাড়ায় না, কফও তৈরি করে।
৪. শীতে অসুস্থতা এড়াতে হিস্টামিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবারের মধ্যে ডিম, মাশরুম, টমেটো, শুকনো ফল, দই উল্লেখযোগ্য। এসব খাবার শীতের দিনে অতিরিক্ত কফ তৈরি করে। সেই সঙ্গে নাক বন্ধ এবং বুকে আটকা ভাবও তৈরি।
৫. বুকে কফ জমলে, গলা ব্যথা , সর্দি-কাশি হলে শীতের সময় চিকিৎসকরা দুগ্ধ জাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এসব খাবার খেলে বুকে কফ জমার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে দুধ, পনির কফ ঘন সৃষ্টি করতে ভূমিকা রাখে। এতে শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়।
৬. শীতের এ সময় কফি, এনার্জি পানীয় কিংবা অন্য যেকোনো ধরনের পানীয় বেশি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পায়। এতে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত কফ জমা হয়। এছাড়া গলা শুকিয়ে যাওয়া, কফ জমে যাওয়া এবং নিঃশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে।