Tue. Jun 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কোনোভাবেই সমর্থযোগ্য নয়। তিনি মূলত ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রবিশ কুমারের বর্ধিত দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ওবায়দুল কাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ‘ভারত তোষণনীতি’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এক লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি ভারতের সংসদে পাশ হওয়া বিতর্কিত ‘নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) ও এনআরসি’ সংকট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষসহ, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট এবং বিশ্বের বিবেকবান মানুষেরা চরমভাবে উৎকণ্ঠিত। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের সব ধর্ম, বর্ণ, মত ও পথের মানুষ এ আইনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। এমনকি পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি ‘দিল্লীর রামলীলা ময়দানে’ প্রকাশ্য জনসভায় ‘নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) ও এনআরসি’ ইস্যুতে ভারতের জনগণের ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা দূরীভুত করতে নমনীয় মনোভাব প্রকাশ করছেন। ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘বাংলাদেশ ও বিএনপি’ সম্পর্কে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর পার্লামেন্টে দেয়া মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্যের পক্ষে অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে অবস্থান নিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের অমিত শাহর সমর্থনে নিজ দেশের আপামর জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন ‘ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা কি অসত্য?’ আমরা দ্ব্যর্থহীন এবং অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ওবায়দুল কাদের, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব অমিত শাহ এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ, বিএনপি এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সরকার সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন তা সর্বৈব, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বৈষম্যমূলক, ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টিকারী এবং তা দুদেশের (আওয়ামীলীগ ও বিজেপি) অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সংকীর্ণ সুবিধা লাভের ঘৃণ্য কৌশলমাত্র।

ওবায়দুল কাদেকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আপনি এবং আপনার অবৈধ দেশের স্বার্থবিরোধী সরকার অমিত শাহর বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে সুস্পষ্টভাবে শুধুমাত্র এদেশের মানুষের স্বার্থবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেননি, একইসঙ্গে বিতর্কিত ‘নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) ও এনআরসি’র ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সব নিরীহ সাধারণ ভারতীয়দের স্বার্থহানিকর ঘৃণ্য সহযোগির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।