আইজিপি বলেন, জনগণকে উন্নতসেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত প্রত্যেক পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে বছরে কমপক্ষে ৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুলিশের সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে এগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ‘কি-পারসন’ আখ্যা দিয়ে আইজিপি বেনজীর বলেন, আপনারা পুলিশের পথের দিশারী, আপনারা যেভাবে পথ দেখাবেন, পুলিশ সেভাবে চলবে। আপনারা পথ না হারালে, বাংলাদেশ পুলিশ পথ হারাবে না। দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে এখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন-যাপন করতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে পুলিশিংয়ের নতুন নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে আসতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। পুলিশ উন্নত হলে দেশ এগিয়ে যাবে, জনগণ উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় পুলিশ প্রশিক্ষণ পুল গঠন, ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অবকাঠামো, যানবাহন ও জনবল আরও বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মাযহারুল ইসলাম।বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, পুলিশ স্টাফ কলেজ এবং ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৬০ জন হেড অব ট্রেনিং সভায় অংশগ্রহণ করেন।সভা শেষে আইজিপি প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন।