Fri. Aug 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

২৬ মার্চ খোলা বাজার অনলাইন ডেস্কঃ  ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, মেধাবী চিকিৎসক,  পেশাজীবিসহ বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া।দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্যি, তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, তারা গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল।আমরাই একসময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম।তবে, সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবেনা।সেইদিন এখন আর নাই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ রাজধানীর মহাখালীস্ত জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে।ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে।দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে নাখেয়ে থাকেনা।করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।এসব সম্ভব হচ্ছে, কারন জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে।আগামীতে যাতে এই দেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে নাপারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে নি:শ্বেষ করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন দেশের চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায়না, নিয়ম নেই। অথচ সেসময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃদপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরো কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।

সভায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু বক্তৃতা করেন।