Thu. Feb 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

মো.সোহেল,জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিবেশবাদী সংগঠন তরুর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১২তম আবর্তনের জান্নাতুল ফেরদৌসী তমা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৩তম আবর্তনের যুবায়ের ইবনে জহির।

রবিবার (২ এপ্রিল) তরুর প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য উপদেষ্টাদের মধ্যে স্বাক্ষর করেন জবির আইইআরের সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোবারক হোসাইন এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সরকারী অধ্যাপক ড. জি এম আলামিন।

নবগঠিত এ কমিটিতে সহ সভাপতি পদে মাহফুজ হাসান প্রিতম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাকিব হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এহসানুল হক সায়েম, প্রচার সম্পাদক পদে রায়হান আহমেদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোস্তফা আল বারী রাফি, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক পদে আরাফাত হোসেন, বৃক্ষরোপন বিষয়ক সম্পাদক পদে নাহিদা ইসলাম শান্তা, পরিচ্ছন্নতা ও নির্মলতা বিষয়ক সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আলম নূর, দপ্তর সম্পাদক পদে বেনজির আহমেদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন তামান্না আক্তার, লিয়ানা সাবরিন, ওহিদুর রহমান, সুজন আলী, আব্দুল মুমিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন সানি।

তরুর ব্যপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তরুর সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী তমা বলেন, পৃথিবীর সব দেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ বাস্তবায়ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। আর আমরা বিশ্বাস করি,নেট জিরো বা কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে নিয়ে আসার মানেই হলো কার্বনের বিপরীতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানো যা প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অর্থাৎ ১’৫ ডিগ্রিতে নিয়ে আসার অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। আর সেই নেট জিরোর একমাত্র উপায় হলো অধিক হারে অক্সিজেনের নিঃসরণ অর্থাৎ বৃক্ষরোপণ।

এ বিষয়ে তরুর প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরুপ প্রভাব পৃথিবীর উপর পড়েছে সেখানে আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। পৃথিবীর এই দূর্যোগপূর্ণ মূহুর্তে আমাদের পৃথিবীর জলবায়ুর উষ্ণতা কমাতে, সবুজায়নে, পৃথিবী দূষণ মুক্ত করতে আমাদের কিছু মানুষ চাই যারা নিজের উৎসর্গ করবে পৃথিবীর জন্য।

উল্লেখ্য, তরুর কাজসমূহ হল ১.সবুজায়ন ছড়িয়ে দেয়া, ২. অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়া, ৩.কার্বনের ক্ষতিকর দিক হতে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, ৪. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ ও সাধারণ ছাত্র- ছাত্রীদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা, ৫. ক্লাইমেট চেইন্জের ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোচনা সভা ও পাঠচক্রের ব্যবস্থা করা, ৬. ২০৫০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেই সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা, ৭. বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন ও কার্বন-মিথেনের হ্রাস-বৃদ্ধি সম্পর্কে অবগত করা ও ৮. গ্রিন ইন্ডাসট্রিয়াল রেভুলোশন করে বাংলাদেশসহ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলা।