সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫
চুরির অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। মারধরের শিকার মো. আরাফাত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
২৩ আগস্ট মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
অভিযোগে মো. আরাফাত হোসেন বলেন , ‘১৯ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১২৯ ও ১৩০ নম্বর কক্ষ থেকে আমার একটিসহ মোট তিনটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে এ ঘটনার জন্য আমাকেই সন্দেহ করা হয়। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য ২৩ আগস্ট রাত ২টায় হলে মিটিং ডাকা হয়। মিটিংয়ে আমাকে দোষারোপ করা হয়’।
এরপর আমাকে প্রথম হলের মাঠে পরে ছাদে নিয়ে বিষয়টি স্বীকার করার জন্য চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আমি চুরি করিনি জানালে ছাত্রলীগ কর্মী ফিরোজ মাহমুদ দু’কানে থাপ্পড় দেয়। আঘাতে আমি মেঝেতে লুটিয়ে পরি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন আরাফাত।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আরাফাতকে ছাদ থেকে হলের ১২৯ নম্বর কক্ষে এনে জামিনুর রহমান, লিটন, আরাফাত হোসেন শোভন, ওয়াদুদ হাসান মিঠু এবং সৌরভ বসুসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী মারধর করে।
মারধরের শিকার আরাফাত বারডেম জেনারেল হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. বাধন কুমার দে’র অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
আরাফাতের বাবা সাংবাদিকদের জানান, ‘পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার তার ছেলের দুটি কানের পর্দাই ফেটে গেছে বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামিনুর রহমান জানান, ‘চর-থাপ্পরের ঘটনা ঘটলেও এতো বেশি মারধর করা হয়নি।’ তবে শোভন জানান, মারধরে তিনি নিজে জড়িত নন। লিটন, মিঠু এবং সৌরভও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি।