সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫
১৭৩৯ সালে ফরাসি ক্যাপ্টেন জেয়ান-ব্যাপটিস্টে চার্লস বোভেট ডি লোযিয়ার নামে একজন দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে দূরবর্তী এই দ্বীপ আবিষ্কার করেন। এই ফরাসি ক্যাপ্টেন এর নাম অনুসারে দ্বিপটির নাম বোভেট দ্বীপ রাখা হয়। এই দ্বীপটিকে এযাবত্কালে সন্ধান পাওয়া দ্বীপের মধ্যে সবচেয়ে রহস্যময় আর দুর্গম বলা হয়।
বোভেট দ্বীপ দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ১৫৬৮ মাইল (২৫২৫ কিমি.) জুড়ে অবস্থিত এবং যা শুধুমাত্র ১৯ বর্গ মাইল এলাকা দখল করেছে।
এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্গম দ্বীপ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এখানে স্থলপথে যাওয়ার কোনো উপায় নেই, আর জলপথে যাওয়াও প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার। রহস্যময় এ দ্বীপ সম্পর্কে যা কিছু জানা গেছে তা জানা হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ ও বিমানেরমাধ্যমে উপর থেকে। বোভেট দ্বীপে যে কখনো মানববসতি গড়ে উঠেছিল তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ষাটেরদশকের একটি পরিত্যক্ত লাইফ বোট দেখতে পাওয়া গেছে। কিন্তু দ্বীপের কোথাও লাইফ বোট ব্যবহারকারী কাউকে দেখা যায়নি।
বলা হয়ে থাকে যে, বোভেট দ্বীপের পাশেইআরও একটি দ্বীপ ছিল। অথচ তেমন কোনো দ্বীপ ছিল কি না তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুরোটা দ্বীপ বরফে ঢাকা। তাই উল্লেখযোগ্য কোনো প্রাণীও সেখানে নেই বলে মনে করা হয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বোভেট দ্বীপেশুধু পেঙ্গুইন, শিল আর দুই-এক প্রজাতির সামুদ্রিক পাখির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
বোভেট দ্বীপকে ১৯৭১ সালে একটি প্রকৃতি সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৪ সালে নরওয়ের একটি ক্ষেত্র স্টেশন হিসেবে কাজ করার জন্য এখানে একটি বিল্ডিং স্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে এই ষ্টেশনটি মোটামুটিভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং বর্তমানে এটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত।-সূত্র: সামটাইমস।