বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
যে দেশের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ায়, সে দেশের শিক্ষকের ওপর শিক্ষার্থীদের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না-বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যম-ল মিলনায়তনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘অধ্যাপক জিয়া হায়দার স্মারক বৃত্তি ২০১২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রবীণ-বয়স্ক, শিক্ষকদেরকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
নাটকের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নাটক শিক্ষার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। নাটকের কথা মানুষের মনে যেভাবে দাগ কাটে বইয়ের শিক্ষা মানুষের মনে সেভাবে দাগ কাটে না। মানুষ নাটকের কথাগুলো মনে রাখে।
অধ্যাপক জিয়া হায়দারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধ্যাপক জিয়া হায়দার মৃত্যু পথযাত্রা অবস্থায়ও এদেশে নাট্যকলার চর্চা ও বিকাশ সাধনের কথা চিন্তা করেছেন, গবেষণা করেছেন, বই লিখেছেন। তিনি জীবিত অবস্থায় তার সংরক্ষিত বইগুলো নাট্যকলার শিক্ষার্থীদের জন্য দান করেছেন এবং এই বৃত্তি প্রদানের কথাও উল্লেখ করে গেছেন।
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক বিষয়ের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কাজও করতে হবে।
এ সময় তিনি নাট্যকলা বিষয়টি কলেজ পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত করার কথা উল্লেখ করে ঢাবির নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এজন্য আন্দোলন করার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারজ্জামান, অধ্যাপক জিয়া হায়দারের ছোট ভাই কথা-সাহিত্যিক রশীদ হায়দার।
এ ছাড়াও অধ্যাপক জিয়া হায়দারের জীবনী পাঠ করেন তার ভাতিজা গণযোগাযেগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতস্বরূপ ঢাবির থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ক্যাথরিন পিউরিফিশন ও ইরা আহমেদকে ‘অধ্যাপক জিয়া হায়দার স্মারক বৃত্তি ২০১২’ প্রদান করা হয়।