Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

23বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
রাজধানী ঢাকার একটি কলেজে নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

চার সদস্যের একটি কমিটি এর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে বলে বুধবার জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।

গত ২৪ জুলাই সারাদেশে ‘আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব’বিষয়ের এই পরীক্ষা হয়। ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে গত মার্চে ইডেন কলেজে নেয়া নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নের ‘হুবহু’মিল পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এমন ঘটনায় ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেন ইডেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরাও।

এই ঘটনাটি নিয়ে গত ২৭ জুলাই এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অধ্যাপক হারুন জানান, প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিনই তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক আনোয়ার হোসনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

“প্রতিবেদনের আলোকে যাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটল তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে,” বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য।

দুটি প্রশ্ন মিলে যাওয়ার কারণ হিসাবে পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের ‘সচেতনতার অভাব’কে চিহ্নিত করে তিনি বলেছেন, প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করার বিষয়টি তাদের ভাবনায় রয়েছে।

“পাঁচ সদস্যের কমিটি বসে আগে প্রশ্ন ঠিক করত। আমরা ভাবছি, এরপর থেকে প্রথমে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেয়া হবে এবং তারপর মডারেশন বোর্ড সেখান থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঠিক করবে।”

“এবং সেটা করা হবে অত্যন্ত গোপনীয় প্রক্রিয়ায়। এমনটি করা সম্ভব হলে আগের মতো মিলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না,” বলেন অধ্যাপক হারুন।