খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: নম্বরপত্রে কারসাজি হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ ঝুলে গেছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, “টেবুলেশন শিট টেম্পারিংয়ের (জালিয়াতি) কারণে ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে।”
এদিকে নির্ধারিত সময়ের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এতে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ফাইনাল পরীক্ষার ২২ কর্মদিবস অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
গত ১২ জানুয়ারি আইন বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয় এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে।
সে অনুযায়ী মার্চ মাসে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি।
জালিয়াতি করতে ফল প্রকাশে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে কয়েক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।
“শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে-কমিয়ে বিভাগে মেধাক্রমে নিজেদের পছন্দসই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আনতেই ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব করা হচ্ছে,” বলেন একজন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন এই শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের ওই পরীক্ষার কমিটির সমন্বয়ক বোরহান উদ্দীন খান বলেন, “বিভাগের দুইজন শিক্ষক দুই ধরনের টেবুলেশন শিট তৈরি করেন। ফলে রেজাল্ট টেম্পারিংয়ের প্রশ্ন ওঠায় ওই দুই শিক্ষককে বাদ দিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অন্য দুজনকে ট্যাবুলেশন শিট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন।”
দুই শিক্ষক কেন দুই ধরনের টেবুলেশন শিট তৈরি করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে বিভাগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর তদন্ত করতে পারে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগে করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাইছি না।”
উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, “বিষয়টি দেখছি।”