Fri. Oct 24th, 2025
Advertisements

44খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: মাত্র দশ হাজার টাকায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থায়ী ভবনের অংশীদার হওয়া যাবে। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টিদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন জাদুঘর ভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জাদুঘরের বাকি কাজ সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়। উল্লেখ্য বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অবস্থান রাজধানীয় সেগুনবাগিচায়।

সংবাদ সম্মেলনে এ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আজ ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাসব্যাপী একটি প্রচার অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে জাদুঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে যেকোনো পরিমাণের অর্থ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে দশ হাজার টাকায় প্রতীকী ইট কিনে যে কেউ এ জাদুঘরের অংশীদার হতে পারবেন। এ জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ’ অ্যাকাউন্টে (নম্বর: ১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১) এবং বিকাশ নম্বর ০১৭৩০৬০০০৬২ এ টাকা পাঠানো যাবে। আর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এ আহ্বান থেকে আশানুরূপ সাড়া পেয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকলে সেটি দিয়ে একটি এনডাওমেন্ট ফান্ড তৈরি করা হবে। ওই অর্থ জাদুঘরের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয় করা হবে।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ। সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণেই অর্জিত হয়েছিল আমাদের বিজয়। তাই আমরা চাই সকল শ্রেণির মানুষের মালিকানা ও অংশগ্রহণেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাজ সম্পন্ন হোক।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, স্থায়ীভাবে এ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জন্য আনুমানিক ব্যয় হবে ১০২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সরকারের বাজেট বরাদ্দ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। ফলে জাদুঘরের পুরো কাজ সম্পন্ন করতে এখনো ২২ কোটি টাকা প্রয়োজন।

জাদুঘুরের আরেক ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারেক আলী বলেন, ২০১২ সালে জাদুঘরের কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ভবনের নির্মাণের কাজ। তবে গ্যালারি তৈরির কাজ এখনো বাকি। তাঁরা আশা করছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের পুরো কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

অন্যান্যের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে জাদুঘরের ট্রাস্টি রবিউল হোসেন, সারা যাকের ও দাতা আবদুল মতিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।